আবদুল্লাহ তামিম: ছোট মেয়েদের স্কুলে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছেন জার্মানির নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের সরকার। এই পদক্ষেপ মুসলিম ছাত্রীদের একঘরে করতে পারে বলে ফেডারেল বৈষম্য প্রতিরোধ সংস্থার প্রধানের অভিমত।
নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্তি দপ্তরের কর্মকর্তা সেরাপ গ্যুলার কিন্তু ১৪ বছরের কম বয়সি মেয়েদের স্কুলে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার পক্ষে একাধিক যুক্তি দেখিয়েছেন।
অপরদিকে রাজ্যের সিডিইউ-এফডিপি জোট সরকারের প্রস্তাবিত এই নিষেধাজ্ঞা শিক্ষক মহল, শিক্ষা বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়, এমনকি চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দলের মন্ত্রীদের মধ্যেও ব্যাপক বিভাজন ও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
গ্যুলার স্বয়ং সিডিইউ দলের সদস্য। সরকারি জেডডিএফ টেলিভিশন সংস্থার একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘(এই নিষেধাজ্ঞা) একটি শিশুর মুক্ত বিকাশ নিয়ে – যে কারণে এটা ধর্ম বা (মুসলিমদের) সমাজে অন্তর্ভুক্তিকে কেন্দ্র করে নয়, বরং শিশুদের স্বার্থকে কেন্দ্র করে।'
গ্যুলার স্মরণ করিয়ে দেন যে, ইসলামি প্রথা অনুযায়ী বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছানোর পরেই মেয়েদের হিজাব পরা শুরু করা উচিত। ‘কাজেই এক্ষেত্রে ধর্মীয় স্বাধীনতার যুক্তি উত্থাপন করা উচিৎ নয়, কেননা, ধর্ম এত কমবয়সি মেয়েদের হিজাব পরার কথা বলেনি।'
গ্যুলার বলেন, ‘ডে-কেয়ার আর প্রাইমারি স্কুলের মেয়েদের যে পুরুষদের কাছ থেকে তাদের ‘আকর্ষণ' লুকিয়ে রাখতে হবে, এই মনোভাব শিশুদের যৌন কামনার বস্তু করে তোলে।'
‘একজন তরুণী যখন বলেন, ‘আমি হিজাব পরতে চাই না,' তখন সেটা তার অধিকার এবং আমাদের সেই অধিকার মেনে নিতে ও সম্মান করতে হবে,' গ্যুলার যোগ করেন।
আরো পড়ুন- আওয়ার ইসলাম দাওরা হাদিস মডেল টেস্ট