আবদুল্লাহ তামিম: চৈত্র মাস বলে কথা। এমন দিনে খাঁ খাঁ রোদ্দুর গা পোড়ে যায় বাঙলায়। কড়া রোদের তপ্ত দুপুরই ছিল শুক্রবারের। তবে বিকেল নামতেই বদলে গেল ঢাকার আকাশ। কালো মেঘে উধাও হলো দিনের আলো, সন্ধ্যার আগেই নেমে এল সন্ধ্যা।
ঝড় এল, এল বৃষ্টি- এমন তাড়ায় শুক্রবারের ছুটির বিকেলে হঠাৎ রাস্তায় মানুষের ছুটোছুটি। দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর তাড়া।
তারপর রাজপথের ধুলো উড়িয়ে শুরু হলো ঝড়ো হাওয়া, সঙ্গে সঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আর মৃদু বজ্রের গর্জন। তাতে ধুলোর দাপট কমে এল।
চৈত্রের শেষ বেলায় সবই যেন কালবৈশাখীর আগাম বার্তাই দিয়ে গেল। আবহাওয়াবিদরাও তেমনটাই মনে করছেন।
আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়া কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বিকেলে হঠাৎ করেই কালো মেঘে ঢেকে যায়। সিলেট, ফরিদপুর, ময়মনসিংহে শিলা বৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৭ কিলোমিটার। ঝড়ের সঙ্গে ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বিকেলে রাজধানীর বাড্ডায় অবস্থান করছিলেন সংবাদকর্মী মাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আকাশে হঠাৎ কালো মেঘে যেন বিকেলেই সন্ধ্যা নেমে এসেছিল ঢাকায়। অনেক দিন পর এমন অন্ধকার করা কালো মেঘ দেখলাম। চৈত্র মাসে আকাশে এমন কালো মেঘ দেখে মনে হচ্ছে এটা কালবৈশাখীর আগাম বার্তা।
এ ছাড়া বিকেলে হঠাৎ কালো মেঘের পর ফেসবুকজুড়ে ছিল মেঘ-বৃষ্টি নিয়ে স্ট্যাটাসের ছড়াছড়ি।
শাহজালাল রোহান নামে একজন ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়ে গেছে। চারদিকে শুধু অন্ধকার অন্ধকার। যে যেখানেই থাকো সাবধানে থেকো।’
আরো পড়ুন
বাংলাদেশ ও ইরানের বন্ধন চমৎকার: ধর্মমন্ত্রী