রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


২ দিন ধরে তালাবদ্ধ ঘরে মায়ের লাশের পাশে বসে কাঁদছিল শিশুটি!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় মাত্র দেড় বছরের একটি শিশু দুই দিন তালাবদ্ধ ঘরে মায়ের লাশের সঙ্গে ছিল। শিশুটির কান্না শুনে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন- ঘরে খাটের উপর গৃহবধূর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। মায়ের লাশের পাশে বসে কাঁদছে শিশুটি।

এলাকাবাসীর ধারণা, স্ত্রী রিমা আক্তারকে (২২) নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় স্বামী আল আমিন। এ সময় থেকে শিশুটি তার মায়ের লাশের পাশেই ছিল। লাশ উদ্ধার করে বুধবার সন্ধ্যায় মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ সময় দেড় বছরের শিশু নাহিদকে উদ্ধার করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফতুল্লার কোতালেরবাগ বউ বাজার এলাকার আছির আলী সরদারের ছেলে আল আমিন আড়াই বছর আগে পোশাককর্মী রিমা আক্তারকে প্রেমের সূত্র ধরে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে তার বয়স দেড় বছর। আল আমিন পোশাককর্মী হলেও এলাকায় মাদক চোরাচালানি হিসেবে চিহ্নিত।

এলাবাসীর ধারণা, সোমবার রাতের কোনো এক সময় আল আমিন তার দেড় বছরের সন্তানের সামনে রিমাকে শক্ত কিছু দিয়ে আঘাতের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে শিশুকে রিমার লাশের পাশে রেখে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।

বুধবার সন্ধ্যায় শিশুর কান্না ও লাশের দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক ও প্রতিবেশী নাছিমা ঘরের তালা ভেঙে গৃহবধূর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে লাশের পাশ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই অটল দাস বলেন, স্থানীয় লোকজন ঘরের তালা ভেঙে শিশুটিকে উদ্ধার করে। রিমা আক্তারকে তার স্বামী আল আমিন শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। নিহতের শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আল আমিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এইচজে


সম্পর্কিত খবর