আওয়ার ইসলাম: দেশের কওমি ও আলিয়া মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক না করার নির্দেশেনা চেয়ে যে রিট করা হযেছিল সেটি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রিটটি উত্থাপিত হয়নি এ মর্মে এ আদেশ দেয়া হয়।
জানা গেছে, একটি মাদরাসার পক্ষ থেকে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক না করার নির্দেশেনা চেয়ে রিট আবেদনটি করা হয়েছিল।
আজ এ বিষয়ে শুনানিতে রিট খারিজ করে হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কুরআনের কোথায় এ কথা আছে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যাবে না?
মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
কওমি ও আলিয়া মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। দীর্ঘ দিন ধরেই বিষয়টি আলোচনা আসছে। তবে সরকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করে আদেশ জারি করেছে।
গত সপ্তাহে কুড়িগ্রামের সুখদেব ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম মিয়া ও ঢাকার কদমতলা মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক এই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। শুনানির সময় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে শতাধিক মাদরাসা শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন তৈমুর আলম খন্দকার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
তৈমুর আলম খন্দকারকে বিচারপতি বলেন, ‘আপনি দেখান পবিত্র কুরআনের কোথায় আছে জাতীয় সংগীত গাওয়া যাবে না? পবিত্র কুরআনের কোথাও নেই যে জাতীয় সংগীত গাওয়া যাবে না।’
বিচারপতি বলেন, ‘আগে তো মাদরাসার সিলেবাসে (পাঠ্যক্রম) অংক, ইংরেজি বিজ্ঞান বিষয় অর্ন্তভূক্ত ছিল না। যুগের চাহিদা অনুযায়ী সে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ইসলাম ধর্ম ডে বাই ডে উন্নত হচ্ছে। প্রকারন্তরে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করার জন্যই এ রিট করা হয়েছে।’
বিচারপতি বলেন, ‘স্কুলের শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত গাইবে আর মাদরাসার শিক্ষার্থীরা গাইবে না, এটা তো হতে পারে না। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরে গেলে যখন বিদেশিরা জাতীয় সঙ্গীতের বিষয় জানতে চাইবে তখন শিক্ষার্থীরা কী জবাব দেবে?’।
বিচারপতি আরও বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলে আমরা (মুসলমানরা) ইংরেজি না শিখে পিছিয়ে পড়েছিলাম। মাদরাসা শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে দিতে এ ধরনের রিট করা হয়েছে।’
যে কারণে ফেরাউনের লাশ ৩৫০০ বছর ধরে অবিকৃত [ভিডিও]
আরআর