রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


সম্মিলিত বিরোধী ঐক্যের মাধ্যমে বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে হবে : ডা. জাফরুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকুক বা মুক্ত হোক, বিএনপিকে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহন করার আহ্বান জানান বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বড় দলের অহঙ্কার ভুলে সকল গণতান্ত্রিক শক্তির সমন্বয়ে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠন করতে হবে। বিনা চ্যালেঞ্জে সরকারকে ছেড়ে দেয়া যাবে না। তাদের বুঝতে হবে বেগম জিয়াকে জেলে রেখেই সরকার আরেকটি নির্বাচন করতে চায়। আর সে জন্যই তারা নতুন নতুন কর্মপদ্ধতি প্রয়োগ করছে। সরকারের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে না পারলে গণতন্ত্রের ভবিষ্যত যেমন খারাপ, তেমনই বিএনপি ও দেশের ভবিষ্যতও সুখকর হবে না।

শুক্রবার বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জন দল (বিজেডি) আয়োজিত ‍‌'মহান স্বাধীনতার ৪৭ বছর ও জনগণের প্রত্যাশা'-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বেগম জিয়াকে জেলে রাখতেই সরকার একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। তারা নিন্ম আদালতকে নিয়ন্ত্রন করছে, এটি দেশবাসী বুঝে। সরকারকে মনে রাখতে হবে 'দেশের জনগন কাউয়া নয়'। দেশের জনগর সরকারের নাটক ভালো করেই উপলব্ধি করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল সমস্যার জন্য দায়ি হচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। এই সত্যেকে উপলব্ধি করতে হবে। এটি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে বিএনপিকে মাসুল দিতে হবে। ভারতকে চিনতে ব্যর্থ হলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও ক্রমাগত সমস্যা বাড়ছে। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বাড়ছে। গণতন্ত্র বার বার হোচট খাচ্ছে। বিএন ক্ষমতায় আসলেই সকলে লাভবান হবে, বা দেশ ও দেশের মানুষ মুক্তি পাবে বিষয়টি এমন নয়। দেশ ও জণগনের মুক্তির জন্য বিএনপি চিন্তা-চেতনার মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান সরকার ভন্ড ও প্রতারক, তারা ভোট ডাকাত। ভোট কেন্দ্রে ভোটার না থাকলেও তারা ৪০% ভোট পায়, যা হাস্যকর। তাদের কথায় জনগন বিশ্বাস করে না। তাদেরকে সম্মিলিতভাবে না বলতে হবে।

তিনি বিএনপি ও ২০ দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনগনের স্বার্থে, রাষ্ট্রে স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে আপনাদের কর্মসূচী কি জাতি জানতে চায়। আগামীতে দেশ জাতির সামনে আপনাদের বক্তব্য কি স্পষ্ট করতে হবে। আপনাদের ব্ক্তব্যে সাথে একমত হলেই কেবল জাতীয় ঐক্য সম্ভব। শুধু মুখে মুখে জাতিয় ঐক্যের কথা বললে হবে না।

তিনি আরো বলেন, ৪৭ বছরে গুম, হত্যা-নির্যাতন বেড়েছে কয়েক'শ গুন। রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে জনগনের আস্থা ও বিশ্বাস কমে যাচ্ছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। এগুলোর পরিবর্তন করতে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, প্রতিষ্ঠিত করতে হবে জনগনের সরকার।

জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, বর্তমান সরকারের অপশাসনে দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা সকল কিছুই আজ ধ্বংসের দাড় প্রান্তে। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃতি হবে। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যারা অবদান রেখেছেন তাদের নাম মুছে দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না, তাদের চরিত্র হরনেও ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরে গণতন্ত্র বার বার হোচট খেয়েছে। শাসক গোষ্টির ক্ষমতায় টিকে থাকার লোভের কারণে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্র বার বার হুমকির মুখে পড়ছে। ইতিহাসের সবচাইতে কঠিন সময় অতিক্রান্ত করছে জাতি। এই অবস্থায় সকল দেশপ্রেমিক-গণতান্ত্রিক শক্তির জাতীয় ঐক্য মঞ্চ প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নাই।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ