আওয়ার ইসলাম: শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পাঁচ সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ (এএসআই) ৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তাদেরকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে সাদা পোশাকে অন্য থানা এলাকাতে অভিযান চালানোর অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান, ইন্দ্রজিৎ সরকার, রমেন দাস, কামরুল হোসেন, ইউসুফ আলী ও কনস্টেবল জসিম উদ্দীন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলামকে প্রধান করে দুই সদস্যর একটি কমিটি করা হয়েছে।
এদিকে তদন্ত কমিটির প্রধান মো. তরিকুল ইসলামসহ তদন্ত কমিটির অন্য সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুলা গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টার সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কলা বলে তদন্ত কাজ শেষ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবিব, জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুব রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
পুলিশ এবং গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওই পাঁচ পুলিশ সদস্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাদা পোশাকে জীবননগর উপজেলার সিংনগর গ্রামে অভিযান চালায় এবং তিন বোতল ফেনসিডিলসহ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ওই গ্রামের পলাশকে গ্রেফতার করেন। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী পলাশের সহযোগী একই পাড়ার নারীরা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে পলাশকে ছাড়িয়ে নেন। পরে তারা পুলিশের ওপর হামলা করেন এবং পুলিশ সদস্যদেরকে একপ্রকার বন্দি করে রাখেন।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ এবং জীবননগর থানা থেকে পুলিশ এসে ওই ছয় পুলিশকে উদ্ধার করেন। বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবহিত হলে রাতে অভিযুক্তদের সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খাঁন জানান, সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া ও সিংনগর গ্রাম একেবারে লাগোয়া হওয়ায় ভুল করে ওই পুলিশ সদস্যরা জীবননগর থানা এলাকার ভেতরে ঢুকে পড়ে।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, সাদা পোশাকে অভিযান না চালানোর ব্যাপারে এমনিতেই নির্দেশনা রয়েছে। তাছাড়া ওই ছয় পুলিশ সদস্য কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে না জানিয়ে পার্শ্ববর্তী থানা এলাকাতে অভিযান চালায়। যা পুলিশ বাহিনীর শৃঙ্খলা পরিপন্থী। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আওয়ার ইসলাম/এটি