আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর শাহবাগের শিশুপার্ক থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তকে একটি কাপুরুষিত সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
তারা বলছেন, এভাবে জিয়ার নামকে বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলা যাবে না।
এই বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার।
এখন জিয়া শিশু পার্কের নামও মুছে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
রিজভী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের এধরনের উদ্যোগকে ধিক্কার জানাচ্ছি, নিন্দা জানাচ্ছি এবং তীব্র প্রতিবাদ করছি। এধরনের প্রতিহিংসার উদ্যোগ থেকে সরকারকে সরে আসারও আহ্বান জানাচ্ছি।
শিশুপার্কে জিয়ার নাম মুছে ফেলাকে এক ধরণের হীনম্মন্যতা উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.ফাওয়াজ হোসেন শুভ বলেন, এখন আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি।
আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করে আনবো। জিয়ার নাম মুছে ফেলার এই প্রতিহিংসার উদ্যোগকে জনগণই মূল্যায়ন করবে। বাংলাদেশের জনগণ সময়মতো ব্যালটের মাধ্যমে এর সমুচিত জবাব দিবে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ড.রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, সরকার শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার ঘৃণ্য উদ্যোগ নিলেও জাতির হৃদয় থেকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা যাবে না। তিনি আছেন থাকবেন যুগ যুগ ধরে কোটি কোটি মানুষের অন্তরে।
বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও চিফ হুইপ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড.খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু বলেন, শহীদ জিয়ার প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা তা কখনো মুছে ফেলা যাবে না।
জনগণের টাকা অপচয় করে শিশুপার্কের নাম পরিবর্তন মানুষ ইতিবাচক হিসেবে নিবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে একটা বদ্ধমূল ধারণা হবে যে এই সরকার ইতিহাসের পাতা থেকে জিয়াউর রহমানকে একেবারে মুছে দিতে চায়।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর শাহবাগের শিশুপার্কের নাম পরিবর্তন করেছে সরকার। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম সরিয়ে দেয়া হয়েছে। শহীদ জিয়া শিশু পার্ক থেকে নতুন নাম হয়েছে শুধু শিশু পার্ক।
এক সপ্তাহের মধ্যে শিশুপার্কের আগের নামফলক সরিয়ে নতুন নামফলক বসানো হবে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।