আওয়ার ইসলাম: সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কটা বেশ মজবুত। আর সেই সম্পর্ককে আরও পাকাপোক্ত করতে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন-সালমান। সেখানে তিনি দুদেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে।
বেশ কিছু দিন ধরে আলোচিত-সমালোচিত এই দুই বিশ্বনেতার আলোচনার মূল বিষয়গুলো জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।
ইরান ইস্যু
সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার তালিকায় প্রথমেই থাকবে ইরান ইস্যু। ২০১৫ সালে ইরানের করা পারমাণবিক চুক্তি শেষ করার জন্য ট্রাম্পের ওপর চাপ দেবেন সালমান। এর আগে জানুয়ারিতে সর্বশেষ চুক্তিটি নবায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র।
কাতার বয়কট
কাতারকে বয়কট করার বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করবেন সালমান। তবে কাতারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বেশ ভালোই। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ‘বাড়াবাড়ির’ বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি জোট গড়তে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দাবি আঞ্চলিক যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি করছে কাতার। তবে এ অভিযোগ মানতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি
চলতি মে মাসেই ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করবে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে দেশটির পক্ষ থেকে। মার্কিনিদের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা সেই প্রথম থেকেই করে আসছে সৌদি আরব। ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার সময় এ বিষয়টি তুলে ধরবেন যুবরাজ সালমান।
পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার
পারমাণবিক শক্তির নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে সৌদি আরবকে সহায়তা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের পারমাণবিক প্রযুক্তি দেশটির কাছে বিক্রি করতেও আগ্রহী তারা। যুবরাজ সালমানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন ট্রাম্প।
বাণিজ্য
দুদেশের মধ্যে আলোচনার অন্যতম বিষয় হিসেবে থাকবে বাণিজ্য। এমনিতেই সৌদি সরকারের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া নিজ দেশে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়াতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে সহায়তা চাইবেন সালমান।
সম্পর্ক উন্নয়ন
এমনিতেই সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বেশ ভালোই যাচ্ছে। সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে নতুনভাবে আলোচনা করতে তো বাধা নেই। তাই এ নিয়ে বৈঠকে বসবেন ট্রাম্প-সালমান।
এইচজে