আবদুল্লাহ তামিম: গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আশীষ কুমার সরকার বলেছেন, নিজেকে আলোকিত করাসহ প্রকৃত মানুষ হতে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই।
শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি নিয়মিত সাধারণ বইও পড়তে হবে। স্কুল-কলেজের লাইব্রেরিগুলোকে কার্যকর করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতে প্রতিদিন এক ঘন্টা বই পড়ার জন্য রাখা হয় সেজন্য সরকারি নির্দেশনা জারির চেষ্টা চলছে।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, গণগ্রন্থাগার অধিদফতরকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। জেলা পর্যায়ের গ্রন্থাগারগুলোকে এক তলা থেকে চার তলা ভবনে রূপান্তর করা হবে। এরফলে প্রতিটি এলাকায় বই পড়ার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
আশীষ কুমার সরকার শনিবার (১০ মার্চ’১৮) ঝালকাঠিতে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার আয়োজিত মহান বিজয় দিবস এবং শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রচনা, বইপাঠ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
সভাপতিত্ব করেন উপসচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ শহীদুল ইসলাম। বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের উপপরিচালক মিছবাহ্ উদ্দিন, গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের সহকারী পরিচালক হামিদুর রহমান তুষার ও সূর্যালোক নিউজ সম্পাদক হেমায়েত উদ্দিন হিমু বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।
এছাড়া জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান খালিদ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, প্রতিযোগী দীপু কনা মজুমদার, অভিভাবক একেএম এ মান্নান প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
জেলা সরকারি গণগ্রন্থারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে মোট ৫৪টি পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি সংশ্লিষ্টদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সৈয়দা মাহফুজা মিষ্টি।