আবদুল্লাহ তামিম: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে খুলনার জনসভায় হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে।
শনিবার বিকেল ৩ টার দিকে জনসভা শুরু হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে কেন্দ্র ঘোষিত তৃতীয় পর্যায়ের কর্মসূচিতে খুলনায় আজ এই জনসভার প্রস্তুতি নেয়া হয়।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এই সমাবেশে উপস্থিত রয়েছেন।
কারারুদ্ধ খালেদার মুক্তির পরেই নির্বাচন নিয়ে আলোচনা: রিজভী
কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির পরেই নির্বাচন, সহায়ক সরকার, সংলাপসহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হবে না’ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এ বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার কি একতরফা নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন? তাহলে নির্বাচন, নির্বাচন জিকিরের তো দরকার নেই। নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করে পরের দিনেই ক্ষমতাসীন দলকে বিজয়ী ঘোষণা করলেই তো পারেন।’
জাতীয় নির্বাচনে সব দলকে সমান সুযোগ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের বলে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে মনে হয় তারা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আগ্রহী না।
দায়িত্বের চেয়ে চাকরি রক্ষা বড় হলে তার দ্বারা কিছু করা সম্ভব নয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার শেখ হাসিনার দুর্বিনীত দুঃশাসনকে প্রলম্বিত করার জন্য ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে গেলে দেশে চরম অরাজকতা সৃষ্টি হবে। আর এজন্য দায়ী থাকবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি (একাংশ) আয়োজিত ২০ দলীয় জোটনেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ফারুক বলেন, আমরা দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে আছি। বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান বেগম জিয়াকে আমরা আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে মুক্ত করতে চাই। এই আইনি লড়াইয়ে মুক্তির মধ্য দিয়ে দেশে আরেকবার লুণ্ঠিত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, বাংলাদেশের মানুষের কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলা এবং জনসভা করার অধিকার ফিরে পাবো।