রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

ভারতের আদালত স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার বৈধ করলো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: ভারতের আদালত সুপ্রিম কোর্ট নিরাময় অযোগ্য রোগের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিয়েছে।

সেইসঙ্গে নাগরিকদের চাইলে ভবিষ্যতে লাইফ সাপোর্টে বেঁচে থাকতে চান না মর্মে উইল করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে; আদালত যাকে ‘লিভিং উইল’ বলে বর্ণনা করেছে।

তবে কে বা কারা স্বেচ্ছা মৃত্যুর অনুমতি দিতে পারবে সে বিষয়ে আদালত থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। এটাই আদালতের নির্দেশনা।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ওয়াশিংটন ভিত্তিক ‘কমন কজ’ নামে একটি এনজিওর আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার ভারতের সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেয়।

পিটিশনে বলা হয়, “একজন ব্যক্তির নিজের শরীরের উপর অত্যাচার প্রতিরোধের অধিকার নেই, এ কথা আপনি কিভাবে বলতে পারেন? বেঁচে থাকার অধিকারের মধ্যেই সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুর অধিকার অন্তর্নিহিত। যন্ত্রের সাহায্যে (ভেন্টিলেশন) কাউকে বেঁচে থাকতে বাধ্য করা যায় না। একজন ব্যক্তিকে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখার অর্থ তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেঁচে থাকতে বাধ্য করা।”

শুক্রবার ওই পিটিশনের রায়ের শুরুতে বলা হয় ‘মানুষের সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুর অধিকার আছে’।

“যদিও বিচারকরা এ ক্ষেত্রে চারটি আলাদা মত দিয়েছেন। তবে তারা সবাই ‘লিভিং উইল’ এর অনুমতি দেওয়া উচিত বলে একমত হয়েছেন।

“যদি ভবিষ্যতে কোমায় চলে গেলে কেউ আর বেঁচে না থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তবে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে তার জীবন টেনে নেওয়া উচিত না বলে আমাদের মত।”

‘লিভিং উইল’ কার্যকরের ক্ষেত্রেও আদালত থেকে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কে বা কারা লিভিং উইল কার্যকরের অনুমতি দিতে পারবে তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার পাশাপাশি ‘কোমায়’ চলে যাওয়ার পর কোনো রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে নাকি উঠবে না সে বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

আর যদি কোনো রোগী ‘লিভিং উইল’ করে না যান এবং চিকিৎসকরা তার অসুস্থতা নিরাময় অযোগ্য বলে ঘোষণা করেন; কিন্তু রোগী নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত অবস্থায় না থাকেন তবে তার কোনো স্বজন উচ্চ আদালতে স্বেচ্ছা মৃত্যুর অনুমতি দেওয়ার আবেদন করতে পারবেন। ওই আবেদনের ভিত্তিতে আদালত মেডিকেল বোর্ডকে তলব করে স্বেচ্ছা মৃত্যুর প্রয়োজনীয়তা জিজ্ঞাসা করবেন।

অরুণা শানবাগের স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদনটি ছিল ভারতে এ ধরনের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

১৯৭৩ সালে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর অরুণা কোমায় চলে যান এবং ৪২ বছর পর ২০১৫ সালে তার মৃত্যু হয়।

২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট অরুণাকে জোর করে খাওয়ানো বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

ভারতী দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারা অনুযায়ী আত্মহত্যার চেষ্টার সাজা সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ