রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ-মুসলিম সংঘাত ঠেকাতে সোশাল মিডিয়া বন্ধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বৌদ্ধ ও মুসলমানদের মধ্যে সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ক্যান্ডিতে জরুরি অবস্থা জারির পর ফেইসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করেছে শ্রীলঙ্কা।

বুধবার সরকারের এক ঘোষণায় তিন দিন সারাদেশে ফেইসবুক, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।

মুসলমানদের সঙ্গে সংঘাতে এক বৌদ্ধ তরুণের মৃত্যুর জের ধরে শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চলীয় জেলা ক্যান্ডিতে রোববার থেকে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত চলছে।

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার ক্যান্ডিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হলেও রাতভর মুসলমানদের কয়েকটি মসজিদ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয় বলে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে।

পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকারা বলেছেন, মঙ্গলবার রাতভর ক্যান্ডি এলাকায় ‘বেশ কয়েকটি ঘটনা’ ঘটেছে। “পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় পুলিশের তিন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।” তবে কতজন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছে সে হিসাব পাওয়া যায়নি।

এসব সহিংস ঘটনার কয়েকটির জন্য সোশাল মিডিয়াকে দায়ী করে সরকারের পক্ষ বলা হয়েছে, ফেইসবুকে মুসলিমদের ওপর আরও হামলার হুমকি সম্বলিত পোস্টের মাধ্যমে সহিংসতাকে উস্কে দেওয়া হয়েছে।

গত বছর থেকেই শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। কয়েকটি কট্টরপন্থি বৌদ্ধ গোষ্ঠী অভিযোগ করে আসছিল, শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধদের জোর করে ইসলাম ধর্মে দিক্ষিত করা হচ্ছে।

পাশাপাশি বৌদ্ধ পুরাতাত্ত্বিক স্থানগুলো ভাংচুরের জন্যও তারা মুসলমানদের দায়ী করে আসছিল।

গতবছরের শেষে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার থেকে মুসলমান রোহিঙ্গারা শ্রীলঙ্কায় গিয়ে আশ্রয় নিতে শুরু করলে তাতে আপত্তি জানিয়ে সরব হয় দেশটির কয়েকটি বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী।

বৌদ্ধ তরুণের মৃত্যুর জের ধরে সোমবার ক্যান্ডিতে মুসলমান মালিকানাধীন একটি দোকানে অগ্নিসংযোগের পর সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলী বৌদ্ধদের সঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ব্যাপক সংঘাত শুরু হয়। দাঙ্গা থামাতে ক্যান্ডিতে সান্ধ্য আইন জারি করে সেখানে সেনা ও এলিট পুলিশ ফোর্স পাঠায় সরকার।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ