রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

এবার দলীয় কর্মীকেই পিটিয়ে রক্তাক্ত করল ইবি ছাত্রলীগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বুধবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন ভবনের সামনে আইন চত্বরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ দলের এক কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মারধরের স্বীকার ওই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আশিক আরাফাত। সে বিশ্ববিদ্যালয় লোকপ্রশাসন বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ও সাধারন সম্পাদক গ্রুপের কর্মী। ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা তাকে বেধড়প পিটিয়েছে বলে জানিয়েছেন আহত সেই ছাত্রলীগ কর্মী। মারধরের পরে তার বন্ধুরা আহত অবস্থায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১২টার আশিক আরাফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন ভবন থেকে আইন চত্বরের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় ছাত্রলীগ কর্মী রিজভী আহমেদ, জুলকার নাইম, লিংকন আহমেদ, গোলাম মোস্তফা, রাব্বি, বিল্লাল, বহিরাগত নয়নসহ ১০-১২ জন আশিকের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করে। তারা আশিককে রড ও লাঠিশোটা দিয়ে উপর্যপুরি মারতে থাকে।

এক পর্যায়ে আশিক রাস্তায় পড়ে গেলে তারা চলে যায়। পরে আশিকের বন্ধুরা আহত অবস্থায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করে। হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিনের অনুসারি কর্মী বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

এদিকে আহত আশিক মারধরের ঘটনায় লোক-প্রশাসন বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। লিখিত অভিযোগ আশিক উল্লেখ করেন, আমি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কোন কথা ছাড়াই বহিরাগত নয়ন, লোক প্রশাসনের বিল্লাল, ইংরেজি বিভাগের রিজভী, সালাম, বাংলার মোস্তফা, অর্থনীতির লিংকন, জুয়েল আমাকে রড দিয়ে মারধর করে। আমাকে রাস্তায় অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।

আমি বিশ্ববিদ্যারয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার তদন্তপূর্বক দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

 

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ