আওয়ার ইসলাম: মুক্তিযোদ্ধা-ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী আর নেই। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর কিডনিতে সমস্যা হচ্ছিল। এর আগে বাসায় পড়ে গিয়ে তাঁর পায়ে গোড়ালির একটি হাড় স্থানচ্যুত হয়। গত রোববার হাসপাতালে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে দ্রুত হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এরপর বেলা পৌনে একটার দিকে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী দীর্ঘদিন যাবৎ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। গত বছর ৪ নভেম্বর নিজের বাসায় বাথরুমে পড়ে গোড়ালিতে আঘাত পান। তখন তাঁর গোড়ালির একটি হাড় স্থানচ্যুত হয়।
১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হন। স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেয়। এর আগে ২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদক পান।
২০১৪ সালে একুশের বইমেলায় তাঁর আত্মজীবনী ‘নিন্দিত নন্দন’ প্রকাশিত হয়।
সূত্র: প্রথম আলো