আওয়ার ইসলাম, ডেস্ক: ছেলেকে বাড়ি থেকে তাড়াতে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের ভাড়া করে নিজ বাড়িতে হামলা চালায় বাবা আমজাদ হোসেন। এতে বাড়িঘর ভাংচর, ছিনতাই ও লুটপাট চালায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা।
এ সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি কোপে আহত হন অন্তত ৭ জন। গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে তাদের বাঁধার মুখে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল রেখেই পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইছাকুড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর ইত্তেফাক।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, আমজাদ হোসেনের বড় স্ত্রীর ছেলে সোলায়মান (৪৫) তার বাবার জমিতে মাটি ভরাট করে বাড়ি করে বসবাস করে আসছিলো। এতে বাঁধ সাধেন দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তার দুই ছেলে সবুজ ও রফিক।
এদের সাথে সায় দিয়ে বড় ছেলে সোলায়মানকে (৪৫) বাড়ি থেকে উৎখাত করতে লুটপাট ও ভাংচুরের এই ঘটনা ঘটায়।
এতে রৌমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য রাশেদ, জামিল, জাহিদসহ ১৫ সদস্যের একটি দল অংশ নেয় বলে অভিযোগ ওঠেছে।
এ সময় আহত হন, সোলায়মান (৪৫), মারুফা (৩৬), মান্নান (৪০), আনোয়ার (২৮), কাদের (৩২) লাকী (২৫) ও আমজাদ (৬৫)। আহতদের উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া দেশীয় অস্ত্র রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, ব্যবহৃত ৫টি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নেয় পুলিশ।
রৌমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সালমান ফারসি তুষার সাংবাদিককে জানান, ওই বাড়ির মালিক আমজাদ হোসেন ছাত্রলীগের এক কর্মীর নিকটাত্মীয়।
বিষয়টি জানতে ছাত্রলীগের ছেলেরা ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসীরা ধাওয়া করলে তারা মোটরসাইকেল রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোন্তাছের বিল্লাহ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এসএস/