সরওয়ার কামাল কক্সবাজার: আগামী ১৩ জানুয়ারি কক্সবাজার চকরিয়া থানার অন্তর্গত সওদাগর ঘোনা মদিনাতুল উলুম মাদরাসায় একটি হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এটিকে বানচাল করার জন্যে স্থানীয় কতিপয় চিহ্নিত মহল পায়তরা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সওদাগর ঘোনা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা জসিমুদ্দীন ও অর্থায়নকারী হাফেয বশির আহমদ।
তারা বলেছেন, কুরআনুল কারিম মহান আল্লাহর কিতাব। যার সংরক্ষণের দায়িত্ব আল্লাহ তাআলা নিজেই নিয়েছেন। কোন ষড়যন্ত্রকারী কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে টিকতে পারেনি। বিশেষভাবে বশির আমদের ভাই ছগির এসব ষড়ন্ত্রের নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ছগির ও বশির তারা আপন ভাই। তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর জের ধরে ছগির চরম প্রতিহিংসা মূলক এসব ঘৃণ্য কাজের পায়তারা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার ভাই বশির আহমদ।
তিনি আরও বলেন, ছগিরগং আরব মেহমানকে বেশ কয়েকদিন ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন এবং বিভিন্ন হতম্বিতম্বিরর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসতে প্রতিবন্ধকা সৃষ্টি করার ও পরিকল্পনা করেছেন।
ছগির সম্পর্কে স্থানীয় জনগনের মন্তব্য ও যথেষ্ট বিরুপ ও বিশ্রী। যা ভাষায় উল্লেখ করার মতো নয়।
কুরআন প্রতিযোগিতা সম্পর্কে স্থানীয় জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া জানতে সওদাগর ঘোনার ১৩২ জন লোকের স্টেটসম্যান নিলে কেউ বিরোধিতা দূরের কথা সবাই সমর্থন এবং উদ্দীপনা যুগিয়েছেন।
হাজার হাজার বয়ান ও কিতাবের অ্যাপ ইনস্টল করুন
তারা বলেছেন, এধরনের অনুষ্ঠান করলে আমাদের সন্তানাদি কুরআন হিফয করার প্রতি উদ্ধুদ্ধ হবে।
এব্যাপারে মাদরাসা সভাপতি কামাল সওদাগর বলেছেন, এসব হচ্ছে ছগিরের পরিকল্পিত মিথ্যাচার। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলম বি এর মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতার বিষয়টি আমি জানি। শুরু থেকেই তারা আমার পরামর্শ নিচ্ছে। গতরাত একজন আরব মেহমান আমার বাসায় অতিথি হয়েছিলো। যার সানিধ্য আমাকে উৎফুল্ল করেছে এবং আনন্দ যুগিয়েছে। মেহমানও যথেষ্ট সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ও আরব মেহমানের সাথে আমার বাসায় সাক্ষাৎ করেছেন। তবে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি তিনি ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন।
মাওলানা সাদের বিরোধিতা যে কারণে