জহির বিন রুহুল, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: হাওরাঞ্চলের মানুষকে গত কয়েকবছর ধরেই বোরো ফসলহানির ধকল সইতে হচ্ছে। ফসল হারিয়ে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ স্ব স্ব এলাকায় কর্মসংস্হান হারিয়ে এখন নিংস্ব।
এ বছরও হাওরাঞ্চলে বোরো জমিতে চারা রোপনের ভরা মৌসুমেও হাওরের পানি না কমায় সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে বোরো জমিতে চারা রোপন ও অন্যান্য কাজে দিন মজুর হতদরিদ্র নিজ নিজ কাজে যেতে পারছে না । তাছাড়া পৌষ মাসের প্রথম দিকে হাওরাঞ্চলে শীতের হাল্কা পরশ পাওয়া গেলেও গত কয়েকদিন যাবত শৈত্য প্রবাহ বেড়েই চলছে।
কখনও কখনও সূর্যের দেখা মিললেও কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে সারাদিন। ফলে হাওরাঞ্চলের কর্মজীবি খেটে খাওয়া ও ছিন্নমুল মানুষের জীবেনযাত্রা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পযন্ত শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় চরম দুভোর্গে আছে হাওরাঞ্চল বাসী।
ভোর থেকে বেলা ১১-১২ টা পযন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকে চার পাশ। কোনো কোনো দিন সারাদিনই কুয়াশা থাকে, সেই সাথে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ার কারনে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে
শীতের তীব্রতা যতই বৃদ্বি পাচ্ছে হাসপাতালগুলোতে শীত জনিত রুগীর সংখ্যাও বৃদ্বি পাচ্ছে।
এমতাবস্থায় হাওরাঞ্চলের শীতার্ত মানুষকে শৈত্য প্রবাহের দৈত্যের হীমশীতল আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে শীত বস্তু ও চিকিৎসা সহায়তা সহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে এগিয়ে আসার আহবান সমাজের সচেতন মহলের।
এসএস/