উবায়দুল্লাহ সাআদ: বাংলাদেশে এই প্রথম বুখারি শরিফের হাফেজের সন্ধান পাওয়া গেছে। যাকে নিয়ে ইতোমধ্যেই অনলাইন ও ফেসবুকে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই একে অসম্ভব বলছেন তবে ঘটনা সত্য। সেটা প্রমাণ হয়েছে বিভিন্ন বয়ানের স্টেজে লাইভ পরীক্ষায়।
মেধাবী এ মানুষটির নাম হাফেজ হাবিবুল্লাহ সিরাজী। তিনি জামিয়া কাসেমিয়া নরসিংদীর প্রাক্তন ছাত্র। বর্তমানে কুষ্টিয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্সে অধ্যায়ন করছেন।
পুরো বুখারি শরিফ মুখস্থ করার দুর্লভ কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। যার হাদিস সংখ্যা ৭২৭৫।
মাওলানা হাবীবুল্লাহ সিরাজীর বাবা মৃত মাওলানা ইসমাঈল হোসাইন সিরাজী, বাড়ী সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানার ইসলাম নগর পাইকশা গ্রামে।
তিনি হাফেজে কুরআনও। তার এ অসামান্য কৃতিত্বের জন্য মাদরাসার তিনদিন ব্যাপী ৪২তম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের প্রথম দিনে হাফেজ হাবিবুল্লাহকে নগদ এক লক্ষ টাকা পুরস্কার প্রদান করেন নরসিংদী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনজুর এলাহী।
বুখারি শরিফের হিফজ কিভাবে সম্ভব হলো, জানতে চাইলে মাওলানা হাবীবুল্লাহ সিরাজী আওয়ার ইসলামকে বলেন, এ বিষয়ে প্রথমে জামিয়া কাসেমিয়া নরসিংদীর উস্তাদ মাওলানা রফি উদ্দীন ও মাওলানা খুরশেদ আলম আমার উৎসাহদাতা।
পরে আমার উস্তাদ প্রয়াত ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার আমাকে বিশেষ উৎসাহ প্রদান করেছেন।
তিনি বলেন, মূলত পূর্ব থেকেই আমার রিয়াজুস সালেহিন মুখস্থ ছিল। হাদিসের প্রতি আমার ভালোবাসা এবং ইচ্ছাতেই এটি সম্ভব হয়েছিল। হুজুর সেখান থেকেই আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। আল্লাহ হুজুর কে জান্নাতে উঁচু মাকাম নসীব করুন।
মাওলানা হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, প্রবল সংকল্প থাকলে কারো পক্ষে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। আল্লাহ মানুষকে অনেক মেধা দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু আমাদের ইচ্ছা আর ধৈর্য শক্তিকে ঠিক মতো কাজে না লাগানোর কারণে অনেক কিছুই পারি না।
নিচের ভিডিওতে দেখুন এক মাহফিলে তাকে পরীক্ষা করা হচ্ছে