আওয়ার ইসলাম: ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ৩০ কোটি ডলারে (৩০০ মিলিয়ন ডলার) একটি বিলাসবহুল প্রাসাদ কেনার খবর চাউর হয়েছে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নামে। যা নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে নয়নাভিরাম এ প্রাসাদটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
জানা যায়, দু’বছর আগে যখন ‘শ্যাটো লুইস ফোরটিন’ ৩০ কোটি ডলারে (প্রায় ২৪০০ কোটি টাকায়) বিক্রি হয় তখন ফরচুন ম্যাগাজিন এই প্রাসাদটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাসভবন’ বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে নয়নাভিরাম প্রাসাদটিকে একজন বেনামি ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়। সে সময় ওই বেনামি ক্রেতার নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়েছিল।
কিন্তু সত্য কোনোদিন চাপা থাকে না, এই প্রবাদের ধারায় শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের রাজ পরিবারের এক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে বিক্রি হওয়া বিলাসবহুল প্রাসাদের মালিক সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
সপ্তদশ শতকে নির্মিত নয়নাভিরাম প্রাসাদটিতে একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তির মিশেলে আধুনিকায়ণ করা হয়েছে। যেখানে আছে মুভি থিয়েটার, সুইমিংপুল, পানির নিচে স্বচ্ছ কাঁচের চেম্বারসহ নানা বিনোদনমূলক ব্যবস্থা।
এর ঝরনা, সাউন্ড সিস্টেম, লাইট এবং নিঃশব্দের এয়ার কন্ডিশনারগুলো আইফোনের মাধ্যমে দূর নিয়ন্ত্রিত।
রাজকীয় সব নকশায় ছেয়ে রয়েছে প্রাসাদের ভিতরের দেয়াল এবং ছাদে রয়েছে চোখ জুড়ানো সূক্ষ্ম কারুকাজের ছড়াছড়ি। প্রাসাদের বাহিরে সুদৃশ্য বাগান রয়েছে।
৫৭ একর জমির ওপর নির্মিত প্রাসাদটি ‘স্যাতো লুইস ১৪’ নামে পরিচিত। এর নির্মাতা একটি সৌদি মালিকানাধীন আবাসন কোম্পানি।
উল্লেখ্য, বিলাসবহুল জীবন যাপনে সু-খ্যাতি রয়েছে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের। সম্প্রতি ৪৫ ডলারে শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা একটি চিত্রকর্ম কেনেন তিনি।
২০১৫ সালে ৫০০ মিলিয়ন ডলারে কেনেন একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী। অথচ বর্তমানে তিনি তার দেশে নজিরবিহীন দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালিয়ে প্রিন্স ও এলিটদের গ্রেফতার করছেন। সরকারি ব্যয় সংকোচন নীতিও অনুসরণ করছেন তিনি।
ভিডিওতে দেখুন প্রাসাদটি