আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
কওমি সদনের স্বীকৃতির আইনী খসড়া নিয়ে ইউজিসি ও আলেমদের সমন্বয়ে গঠিত ৮ সদস্যের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আইনি খসড়া বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকসূত্রে জানা যায়, খসড়ায় কোনো পরিবর্তন না থাকলে শিগগির যাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পরবর্তীতে তা মন্ত্রীসভায় উত্থাপন করা হবে।
গতকাল বিকেল ৩টায় রাজধানী ঢাকার আগারগাওয়ে মঞ্জুরী কমিশনের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ‘হাইআতুল উলয়া’ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ‘আইনী খসড়া’ পাঠ, ভাষাগত ত্রুটি ও বিভিন্ন ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভাষাগত অসঙ্গতি দূর করে সংশোধিত কপি মঞ্জুরী কমিশনে দেয়া হবে। কমিশন তা পর্যালোচনা করবেন এবং পরবর্তীতে আবার ‘হাইআতুল উলয়া’র সঙ্গে বসবেন তারা।
সাব কমিটির অন্যতম সদস্য মুফতি মোহাম্মদ আলী আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন, ‘বৈঠকে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের উত্থাপিত খসড়ার ব্যাপারে মৌলিক কোনো আপত্তি তোলেন নি। তবে কিছু বিষয় অমিমাংসিত রয়ে গেছে। যেমন, কো-আপের অধীনে ৫ বোর্ড থেকে ৫ জন সদস্য নেয়া এবং বেফাক থেকে আজীবন চেয়ারম্যান হওয়া।
হাইআতুল উলয়া ব্যতীত অন্য যারা আছেন তারা কোনো বিষয়ে আপত্তি করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি আওয়ার ইসলামকে জানান, আইনী খসড়ার ১৩ নং ধারার ব্যাপারে তারা বলেছেন ‘বিষয়টি আরও পর্যালোচনার দাবি রাখে।’
১৩ নং ধারায় বলা হয়েছে, আপাততঃ বলবৎ অন্য কোনো আইনে বিপরীত যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানবলী কার্যকার হইবে।
সাব কমিটির অপর সদস্য মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস আওয়ার ইসলামকে বলেন, আমরা তাদের কাছে আইনী খসড়ার ধারাগুলোর ব্যাখ্যা তুলে ধরেছি। এখন তারা নিজেরা পর্যালোচনা করবেন এবং মৌলিক কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে আমাদের ডাকবেন। আর মৌলিক পরিবর্তন না থাকলে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চলে যাবে। সেখান থেকে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে মন্ত্রীসভার বৈঠক ও সংসদে যাবে।
কবে নাগাদ ইউজিসি তাদের পর্যালোচনার ফলাফল জানাবে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই এবং কোনো সময় সীমা নির্ধারণ করা হয় নি।’
যে গতিতে কাজ আগাচ্ছে তাতে কি সর্বশেষ ও আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা সম্ভব হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি খানিক ক্ষেদ নিয়েই বলেন, সে প্রশ্ন আমাকে করছেন কেনো? সেটা জানেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার চাইলে উঠবে, না চাইলে উঠবে না।
খসড়া পর্যালোচনার কমিটিতে রয়েছেন, ইউজিসি থেকে একজন সদস্য, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুর রশিদ, কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহসভাপতি মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গার সভাপতি মুফতি রুহুল আমিন, জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলী ও বেফাকের কেন্দ্রীয় সদস্য মুফতি নূরুল আমিন।
হাইআতুল উলয়ার কো-চেয়ারম্যান হতে পারেন আল্লামা আবদুল হালীম বোখারী
৫ বোর্ডের দাবিসহ হাইআতুল উলইয়ার নতুন আইনী খসড়া চূড়ান্ত