আওয়ার ইসলাম: প্রতি বছরের মতো এবারো কাতারে প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করা সংস্থা আলনূর কালচারাল সেন্টার পবিত্র ঈদুল আজহায় কুরবানির গোশত বিতরণ করবে। কাতার এবং বাংলাদেশে দরিদ্রদের মাঝে এই গোশত বিতরণ করা হবে।
গত শুক্রবার সংস্থাটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘কুরবানির তাৎপর্য ও বিধান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এই কথা জানানো হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ফানার ইনস্টিটিউটে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আলনূর সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক প্রকৌশলী আবু রাইহান।
প্রধান আলোচক ছিলেন আলনূর শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান।
আলোচনায় অংশ নেন নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর, আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রকৌশলী আলীমুদ্দীন।
মহিলা কর্নারে আলোচনা করেন মাওলানা মাহমুদা নুরুল আমীন ও বিলকিস মাসরুফ।
অনুষ্ঠানের সূচনায় কুরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মুস্তাফিজুর রহমান আর উপস্থাপনায় ছিলেন সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী পরিচালক মতিউর রহমান ভূঁইয়া।
উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যাংকার ও আলনূর উপদেষ্টা মীর হোসেন চৌধুরী, আলনূর সমাজ কল্যাণ বিভাগের পরিচালক পেয়ার মুহাম্মদ, নির্বাহী সদস্য রকীবুল ইসলাম ও প্রকৌশলী শামস ইলিয়াস প্রমুখ।
মাওলানা ইউসুফ নূর বলেন, ‘আসন্ন ঈদুল আজহায় কাতারে ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আলনূর সেন্টার কুরবানির আয়োজন করে থাকে। দেশের দরিদ্র্য মানুষ ও কাতারের অসংখ্য বেকার অসহায় প্রবাসীর মাঝে এ কুরবানির গোশত বিতরণ করা হবে।’ তিনি সামর্থ্যবান সবাইকে কুরবানির সুমহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ মানব কল্যাণ কর্মসূচিকে সফল করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ইমাম খতিব ও প্রশিক্ষক মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান কুরবানির বিধান ও করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করে বলেন, কুরবানি একটি ইবাদত। সহিহ শুদ্ধভাবে কুরবানি করতে হলে ওলামাদের নির্দেশনায় কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণেই তা সম্ভব।
কুরবানির ইতিহাস ও ইতিবৃত্ত সম্পর্কে সারগর্ভ আলোচনা করেন মাওলানা মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, মানব পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকেই কুরবানি একটি মহান ইবাদত হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আদি পিতা হজরত আদম থেকেই এর সূচনা হলেও জন্তু কোরবানির বর্তমান পদ্ধতি হজরত ইব্রাহিম আ. এর মাধ্যমেই শুরু হয়। তাক্বওয়া অর্জন ও ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হতে পারলেই কুরবানি সার্থক হবে।
কাতার আলনূর সেন্টারের ধূমপান ও মাদক প্রতিরোধ কর্মশালা