আওয়ার ইসলাম: দেশে মহামারি আকার ধারণ করা ধর্ষণ কমছেই না। ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে এ অপরাধ। ছাত্রীকে ধর্ষণের পর মাথা নেড়া ও চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের হত্যার ঘটনার সুরাহা না হতেই অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেল।
যশোরের অভয়নগর থানা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ভিকটিমের মামলা প্রথমে থানা পুলিশ না নেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে বাধ্য হয়ে ওই নারী আদালতে মামলা দায়ের করেন। তবে এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, ওই নারী থানায় কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেননি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনে ভিকটিম এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভিকটিম বলেন, যশোরের অভয়নগরে পরিবারের সঙ্গে তিনি ভাড়া থাকেন। চার বোনের মধ্যে তিনজনের বিয়ে হয়ে গেছে। তার মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। বাবা মারা গেছেন। নানা বাধা পেরিয়ে চলতি বছর তিনি ৪ দশমিক ৮০ জিপিএ নিয়ে এসএসসি পাস করেছেন।
তিনি আরো জানান, যশোরের অভয়নগরের জনি সরদারের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অভয়নগরে হোটেল আল সেলিমের মালিক জনি। প্রেমের সম্পর্কের কারণে ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর জনি তাকে হোটেলে ডেকে নিয়ে মৌলভির মাধ্যমে কালেমা পড়িয়ে ও কয়েকটি স্ট্যাম্পে সই নিয়ে বলেন যে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। এরপর থেকেই তারা দাম্পত্য সম্পর্ক রক্ষা করে চলতেন।
তিনি আরো জানান, চলতি বছর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর জনি তাকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। গত ১০ জুন তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেন জনি। তিনি যখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তখন গত ৭ জুলাই মীমাংসার কথা বলে তাকে জনির হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা হয়। পরে জনি, শেখ সাইফার, সুমন, আজিম মোল্লা ও রুবেল মোল্লা তাকে ধর্ষণ করে। অভিযোগ নিয়ে তিনি অভয়নগর থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এরপর নানা চাপে তিনি তার মাকে নিয়ে প্রথমে যশোর ও পরে ঢাকায় চলে আসেন। থানা পুলিশ তার মামলা না নিলে তিনি যশোর আদালতে দুটি মামলা করেন।
যশোরের অভয়নগর থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, ওই নারী থানায় মামলা করতে আসেননি। গত ২৮ জুলাই যশোর প্রেসক্লাবে ওই নারী একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনের পর তাকে থানায় আসতে বলা হয়েছিল। অথচ তিনি পুলিশের সঙ্গে কোনো যোগযোগ করেননি। থানায় না এসে আদালতে কেনইবা মামলা করতে গেলেন- তা আমরা বুঝতে পারছি না।
প্রথমে ধর্ষণ; পরে মা মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে নির্যাতন