হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে গ্রাম্যপঞ্চায়েতের রায় মেনে নিতে না পেরে সাবিনা বেগম (১৯) নামের এক তরুণী আত্মহত্যা করেছে। সোমবার দুপুরে বসতঘরের তীরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সাবিনা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
সে কাগাপাশা ইউনিয়নের লোহাজুরি গ্রামের দিনমজুর নিবরসা মিয়ার মেয়ে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গতকাল হবিগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় প্রেমিক ঝুম্মন মিয়াকে (২১) আটক করেছে পুলিশ।
ঝুম্মন একই গ্রামের নান্দু মিয়ার ছেলে।স্থানীয় সূত্র বলেছে, ঝুম্মন ও সাবিনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক মেলামেশায় সাবিনা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে প্রেমিক ঝুম্মন চাপ সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে সাবিনা তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে।
এ নিয়ে গত ১৩ই জুলাই লোহাজুরি গ্রামে এক সালিশ বৈঠক হয়। সালিশ বৈঠকে সাবিনাকে ৬০ হাজার টাকা প্রদানের রায় দেন সালিশানরা। এদিকে সালিশের ৪ দিনের মাথায় সাবিনা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আলী জানান, দরিদ্র পরিবারের মাতৃহীন সাবিনা। বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। ঘরে অসহায় বৃদ্ধ বাবা ছাড়া পরিবারে আর কেউ নেই। লোকমুখে তিনি শুনেছেন, সাবিনা গ্রাম্যপঞ্চায়েতের রায় মেনে নিতে পারেনি বলে অতি দুঃখে আত্মহত্যা করেছে।
বানিয়াচং থানার এসআই ওমর ফারুক জানান, পঞ্চায়েতের রায় মেনে নিতে না পেরে সাবিনা ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
আত্মহত্যায় প্রধান প্ররোচনাকারী প্রেমিক ঝুম্মনকে পুলিশ মঙ্গলাবর রাতে আটক করেছে।
বানিয়াচং থানার এসআই (তদন্তকারী কর্মকর্তা) ফিরোজ জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মিডিয়া নিয়ে আমাদের আক্ষেপ ও কিছু বাস্তবতা
আরআর