মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী গওহরডাঙ্গা মাদরাসার ৮৯তম মাহফিল শুরু আগামীকাল

'মুসলমানদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে সামলানো মুশকিল হবে'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভারতে বিজেপিশাসিত মহারাষ্ট্রের সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আবু আসিম আজমি বলেছেন, যদি গো-রক্ষার নামে মুসলমানদের সাথে সহিংসতা বন্ধ না হয় তাহলে তারাও অস্ত্র তুলে নিলে দেশ সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে।

সোমবার হিন্দি গণমাধ্যম ‘জনসত্তা’য় প্রকাশ, গত কয়েকদিন আগে গরুর গোশত রাখার সন্দেহে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে এক মুসলিম যুবককে পেটানোর ঘটনায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি ওই মন্তব্য করেন।

আবু আজমি বলেন, দেশের যেখানে যেখানে বিজেপি সরকার রয়েছে সেসব জায়গায় এ ধরণের ঘটনা ঘটছে।

তথাকথিত গো-রক্ষকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, যদি এরা এতই ‘বীর’ হয়ে থাকে তাহলে কেন অমরনাথে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়ছে না?

সম্প্রতি অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের উপরে সন্ত্রাসীরা হামলা চালালে আট তীর্থযাত্রী নিহত হয়েছেন।

গরু রক্ষার নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে মুসলিমদের ওপর যে হামলা হচ্ছে সে প্রসঙ্গে আবু আজমি বলেন, এখনকার পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে গরুর জীবনের মূল্য মানুষের তুলনায় মূল্যবান হয়ে গেছে!

তিনি বলেন, যেভাবে জুনাঈদকে হত্যা করার সময় গোটা ট্রেনের মানুষজন হত্যাকারীদের সঙ্গ দিয়েছে তা দেখে মুসলিমরা ট্রেনে সফর করতে ভয় পাচ্ছেন।

কিছুদিন আগে বিজেপিশাসিত হরিয়ানার বাসিন্দা হাফেজ জুনাঈদ খান (১৬) ঈদের বাজার নিয়ে ট্রেনে করে ফেরার সময় উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাতে মর্মান্তিকভাবে নিহত হন। তার অন্য ভাইরাও ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন। ট্রেনের মধ্যে ওই হামলাকারীরা তাদের দাড়ি-টুপি নিয়ে কটুক্তিসহ দেশদ্রোহী, গরুখোর ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে মারধর করলে তারা বাঁচার জন্য চিৎকার করে। কিন্তু সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। পুলিশকে ফোন করেও কোনো সাহায্য পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।

হিন্দি গণমাধ্যম ‘আজতক’-এ দেয়া সাক্ষাৎকারে আবু আজমি বলেন, প্রত্যেক ক্রিয়ারই বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে, কাল যদি তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় এবং এসকল মানুষ হাতে অস্ত্র তুলে নেয় তাহলে সেদিন দেশ সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে।

তিনি একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, এক গোরক্ষককে একা পেয়ে কিছু মুসলিম খুব পিটুনি দিয়েছে। আগামীদিনে এ ধরণের ঘটনা গোটা দেশে হতে পারে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

‘বাবুনগরীকে নিয়ে প্রচারিত সংবাদ বিভ্রান্তিকর ও উস্কানীমূলক’


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ