আওয়ার ইসলাম: গো-রক্ষকদের সামলানো রাজ্যের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল রোববার পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, গোরক্ষার নামে যে সব অসামাজিক শক্তি অপরাধ করছে, রাজ্য সরকারের উচিত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া। কারণ, আইনরক্ষা রাজ্যেরই দায়িত্ব।
তিনি বলেন, রাজ্যকে এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও পাঠিয়েছে কেন্দ্র। মোদীর বক্তব্য, গো-মাতাকে রক্ষার নামে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া বরদাস্ত করা যায় না। গোরক্ষার নামে সাম্প্রদায়িক রং দিয়ে রাজনৈতিক লাভ ওঠানোর দৌড় শুরু হয়েছে, তাতে দেশের কোনও মঙ্গল হবে না।
এদিকে বিরোধী শিবির মোদির এই বক্তব্যকে কৌশলে রাজ্যের উপর দায় চাপানো হিসেবে দেখছে।
সাবরমতী আশ্রমে দাঁড়িয়ে আবেগঘন গলায় মোদীর হুঁশিয়ারির পরেও গণপিটুনি তো চলছে স্মরণ করিয়ে দিয়ে কংগ্রেসের এমপি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, ‘‘কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার পরেই দেশের নানা প্রান্তে গোরক্ষকদের তাণ্ডব বেড়েছে। গেরুয়া শিবিরের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে এর পিছনে।’’
তাঁর প্রশ্ন, ‘‘তিন বছর কেন লেগে গেলো নির্দেশিকা পাঠাতে? অধিকাংশ ঘটনাই তো ঘটছে বিজেপিশাসিত রাজ্যে। প্রধানমন্ত্রী এর আগেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তাতেই বা কী লাভ হয়েছে? আজ তো রাজ্যের কোর্টে বল ঠেলে দায় এড়িয়ে গেলেন তিনি!’’
সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিও বলেন, ‘‘শুধু গোরক্ষক নয়, বিভিন্ন জায়গায় ‘প্রাইভেট আর্মি’ তৈরি হচ্ছে এই সরকারের আমলে। সামাজিক ঐক্য ও অখণ্ডতা এর ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সামনেই আমি বলেছি, সংসদে এই নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হওয়া দরকার।’’ আনন্দবাজার পত্রিকা।
এসএস/