আওয়ার ইসলাম : আলিমুন বয়স ৯ বছর। ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদ ভিত্তিক মক্তবের শিশুশ্রেণির ছাত্র। বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দর গ্রামে।
তিন বছর আগে দিনমজুর বাবা আজাহার শেখ দুই শিশুপুত্র শুকুর আলী শেখ ও আলিমুন শেখকে রেখে মারা যান।
অভাবের সংসারের ঘানি টানতে মা ছকিনা বেগম রাস্তায় দিনমজুরের কাজে নামেন। তিনজনের পেটের আহার জোগাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হয় ছকিনাকে।
গত বছর দেড় আগে রাস্তায় কাজ করতে গিয়ে আরেক দিনমজুরকে দ্বিতীয় স্বামী হিসেবে বেছে নেন ছকিনা। তবে নতুন সংসারে এখন ভূমিষ্ট হয়নি ছকিনার কোন সন্তান। তাই দুই সন্তান শুকুর ও আলিমুনের কাছে সোনাকন্দর গ্রামেই থাকেন মা ছকিনা।
কচুয়া উপজেলার সোনাকান্দর গ্রামের দিনমজুর চাচা মোজাহার শেখের কাছে কুঁড়েঘরে বড় হচ্ছে আলিমুন।
আলিমুনের বড় ভাই শুকুর আলী সেখ সোনাকান্দর গ্রামের বটতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। আর ৬ বছরের আলিমুন সোনাকান্দার হাজিবাড়ি জামে মসজিদের শিশু শ্রেণির ছাত্র। এভাবেই মোটামুটি বড় হচ্ছিল দুই ভাই।
কিন্তু গত দুই বছর পেরিয়ে গেলেও আলিমুনের মাথায় বিরল বিরল রোগের কারণে মসজিদ ভিত্তিক মক্তবেই পড়ে থাকতে হচ্ছে তাকে।
জন্মগত রোগ না হলেও দারিদ্রতার কারণে শিশু আলিমুনের এতদিনেও কোন চিৎকিসার ব্যবস্থা হয়নি।
গত কয়েক বছর ধরেই অজানা এই রোগ নিয়ে চলছে তার কষ্টের জীবন। এতো কষ্টের মধ্যেও মসজিদ ভিত্তিক মক্তবের শিক্ষক সোনাকান্দর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক জাহিদুল ইসলামও তার খোঁজখবর রাখেন। সহায়তা করেন সামর্থানুসারে।
গত বৃহস্পতিবার এ জাহিদুল ইসলাম নামে একজন আলিমুনের বিরল রোগের চিকিৎসার আবেদন জানিয়ে দুটি ছবি পোস্ট করেন ফেসবুকে।
ইতিমধ্যে বিরল রোগে আক্রান্ত আলিমুনের শিক্ষক পল্লী চিকিৎসক জাহিদুল ইসলামের মাধ্যমে তার মা ছকিনা বেগমকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দুই এক দিনের মধ্যেই হয়তো আলিমুনের পরিবার তাকে ঢাকায় নিয়ে যাবেন।
-এজেড