আওয়ার ইসলাম : ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী আল আকসা মসজিদে হামলার দায়ে জেরুজালেমের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা ও গ্রান্ড মুফতি মোহাম্মদ আহমেদ হোসাইনকে গ্রেফতার করেছে বলে তার ছেলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
মোহাম্মদ আহমেদ হোসাইন আল আকসা মসজিদের গ্রান্ড মুফতি ও জেরুজালেমের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ। মসজিদের হামলার পরে তিনি ও আরো কয়েকজন মিলে শুক্রবারের হামলার নিন্দা জানিয়ে নামাজের জন্য মসজিদ চত্ত্বর বন্ধ রাখারও নিন্দা জানান।
লায়ন্স গেটের কাছে মুফতি হোসাইন বলেছিলেন, আমার কাছে ওই হামলা সম্পর্কে সামান্য তথ্য ছিল তার মানে এই নয় যে মসজিদটি নামাজের জন্য বন্ধ রাখতে হবে। পরে এই লায়ন্স গেট থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তার দেহরক্ষীও জানান।
তবে ইসরায়েলের পুলিশ আল আকসার গ্রান্ড মুফতিকে গ্রেফতারের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। হোসাইনের ছেলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তার বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তার বাবার কি অবস্থা তা এখনোও জানেন না বলে এএফপিকে জানান মুফতি পুত্র। গ্রান্ড মুফতির দেহরক্ষী খালেদ হামোও জানান, পুলিশ ভিড়ের মধ্যে ঢুকে মুফতি হোসাইনকে আটক করে নিয়ে যায়।
জেরুজালেমের টেম্পল মাউন্ট চত্বরে শুক্রবার হামলা চালায় ৩ বন্দুকধারী। মুসলিমদের কাছে নোবেল স্যাঙ্কচুয়ারি এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত ওই চত্বর দুটি সম্প্রদায়ের কাছেই অতি পবিত্র ধর্মস্থান।
শুক্রবার সকালে ৩ বন্দুকধারী টেম্পল মাউন্টে পৌঁছে পুরনো শহরের লায়ন্স গেটের দিকে এগনোর চেষ্টা করছিল। তখন পুলিশকর্মীরা তাদের বাধা দিলে তারা এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে আহত হয় ৩ জন। তাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা সবাই ইজরায়েলি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল।
পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে তারা টেম্পল মাউন্ট চত্বরের একটি মসজিদে আত্মগোপনের চেষ্টা করে। তবে ৩ বন্দুকধারীকেই গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। মৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র। এখনও কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।
এই ঘটনার পরই আল আকসা মসজিদে শুক্রবারের নমাজ স্থগিত করে দেওয়া হয়। পরে রাস্তায় জুমার নামাজ পড়ে মুসলিমরা। ওই হামলার নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
-এজেড