রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় কাঠগড়ায় বিচারক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় কাঠগড়ায় দাড়াতে হলো জুডিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিরাজুল ইসলামকে। ঘটনাটি সাতক্ষীরার। অভিযুক্ত সিরাজুল বাগেরহাট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ছিলের।

প্রায় পাঁচ বছর পর গতকাল বুধবার (১২ জুলাই) স্ত্রী মারুফা খাতুনের করা মামলায় সিরাজুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাতক্ষীরা জেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল্লাহ মাহমুদ। এ সময় অভিযুক্ত বিচারক সিরাজুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি ফরহাদ হোসেন জানান, প্রায় এক যুগ আসামি ও বাদীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১১ সালে বিয়ের পর স্বামীর দাবি করা ১৫ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় স্ত্রীকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেন দেবহাটা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম।

এ ঘটনায় স্ত্রী মারুফা খাতুন স্বামী সিরাজুল ইসলাম, শ্বশুর আমীন গাজী, শাশুড়ী হাসিনা বেগম ও দেবর রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।

আইনজীবি ফরহাদ হোসেন বলেন, আসামী  একজন বিচারক হওয়ায় অভিযোগ গঠনে এতা দীর্ঘ সময় লেগেছে। সময়ক্ষেপন হলেও মামলাটি আলোর মুখ দেখেছে, আমরা  আশা করি ন্যায় বিচার পাবো।

ফরহাদ জানান, সে সময়  মামলায় দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারকে অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন নাজমুন নাহার।

এরপর ২০১৪ সালের ৪ মার্চ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগ আমলে নিয়ে এক নম্বর আসামি স্বামী সিরাজুলের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেন এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলটি বিচারের জন্য পাঠান। কিন্তু এরপর আর মামলার কার্যক্রম আগায়নি।

সর্বশেষ গতকাল বুধবার বিচারিক হাকিম হাবিবুল্যাহ মাহমুদ আসামি সিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আগামী ১০ আগষ্ট স্বাক্ষীর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আসমি বর্তমানে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক হিসেবে কর্মরত।

এ ব্যাপারে দুপুরে আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে স্ত্রী মারুফা খাতুন বলেন, ‘প্রায় এক যুগ ছিল প্রেমের সম্পর্ক। বিয়েও হলো। তারপর বিচারকের চাকুরি পেয়ে আমাকে আর পছন্দ হতো না। যৌতুকের চাপসহ বিভিন্ন চাপে স্বামীর সংসার ছেড়ে আদালত পর্যন্ত আসতে হয়েছে আমাকে। আসামি বিচারক হওয়ায় আমাকে যথেষ্ট হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এরপরও আমি শেষ দেখতে চাই।’ সুষ্ট বিচারের দাবি করেন মারুফা।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ