সিরাজগঞ্জে বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-ছেলে ও দাদাসহ একই পরিবারের ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৫জন। নিহত চারজনই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন। ।
বুধবার (২৮ জুন) দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে জেলার সলঙ্গা থানার রয়হাটি এলাকায় এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- বগুড়া জেলার কাহালুর বামগারা গ্রামের সলেয়মান মিয়া (৬৫), তার পুত্রবধু লিলি আকতার (৩২) ও নাতি সাগর হোসেন (১৪)। নিহত আরেকজন মাইক্রোবাসচালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানি জানান, বগুড়া থেকে ঢাকাগামী মাইক্রোবাস (চট্ট মেট্রো চ-১১-১৮৮৩) ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিপরীতমুখী ঢাকা থেকে আসা কুড়িগ্রামগামী ধানসিঁড়ি পরিবহনের ঢাকা মেট্রো ব-১১-৫০২৭ নম্বর বাসের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের ৩ সদস্যসহ ৪ মাইক্রেবাসযাত্রী নিহত হন। আহত হন ৫ জন।
তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করে। নিহতদের লাশ হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। এছাড়া আহতদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে প্রায় ঘণ্টাখানেক যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
এদিকে রাজধানীর শাহবাগে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে সংঘর্ষে জামাল হোসেন (৪০) নামের এক সিএনজিচালক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় সিএনজির আরো চার যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শাহবাগ মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত যাত্রীরা হলেন জাহাঙ্গীর হোসেন (৬০), ওসমান আলী (৩৫), মুক্তি হাবিবুল্লাহ (৪০) ও জামাল (৬০)। তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসএস/