পশ্চিম লন্ডনের বহুতল ভবন গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৯ জন। কর্তপক্ষ বলছেন এখনো নিখোঁজ অনেকেই।
সোমবার লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমান্ডার স্টুয়ার্ট কেন্ডি এক বিবৃতিতে নতুন এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।
স্টুয়ার্ট কেন্ডি তার বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করে বলেন, ওই ভবনের প্রতিটি পরিবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকেরই লাশ পুরোপুরি পুড়ে গেছে, তাই তাদের সঠিক পরিচয় বের করতে সময় লাগতে পারে।
কেন্ডি আরো জানান, ভবনে অনুসন্ধান কাজ শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
এদিকে এ ঘটনার পর উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্রিটেনে সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ ও ক্রোধ ক্রমেই বাড়ছে। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে স্বীকার করেছেন, ঘটনার পর দুর্গত লোকদের সহায়তা ও তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে যা করা হয়েছে, তা যথেষ্ট ছিল না। তিনি তিন সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সবার কাছাকাছি এলাকায় বাড়ির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।
বিক্ষোভকারীরা এ ঘটনাকে দেখছেন সমাজের দরিদ্রদের প্রতি ধনী ও ক্ষমতাবানদের অবহেলা ও উদাসীনতার এক চরম নজির হিসেবে। গ্রেনফেল টাওয়ারের বাসিন্দারা যার মূল্য দিয়েছেন আগুনে পুড়ে মৃত্যুর মাধ্যমে।
টেরিজা মে এ ঘটনার শিকার মানুষের জন্য যথেষ্ট সহমর্মিতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে দুদিনের একটানা অভিযোগের পর দুর্গতদের জন্য ৫০ লাখ পাউন্ড বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু তাতে ক্ষোভ বা সমালোচনা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
গত ১৩ জুন স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে শহরের উত্তর কেনসিংটন এলাকার গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুন লাগে। এরপর আগুন নেভাতে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে।
গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে এখনো এক বাংলাদেশি পরিবার নিখোঁজ