জাকারিয়া হারুন: ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি সফরের কয়েক দিন পর কাতারের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যসহ সাতটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে এর জের ধরে সৌদি বাদশাহ সালমান বিনআবদুল আজিজকে ফোন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ফোনে আলাপকালে কাতারকে বাইরে রেখেই আরব বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে ঐক্যের আহবান জানিয়েছেন ট্রাম্প। এর আগে সৌদি সফরে জঙ্দ সমর্থনের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে মুসলিম দেশগুলোকে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বানকরেছিলেন এতে করে সন্ত্রাসভীতি দূর হবে বলে উল্লেখ করেন।
সৌদি বাদশা সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে ট্রাম্প বলেন, এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য উপসাগরীয় দেশগুলোর ঐক্য জরুরি। মার্কিন কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জঙ্গিবাদী মতাদর্শ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অর্থায়ন বন্ধ করতে লড়াইয়ের জন্য আরব বিশ্বকে ঐক্যের আহবান জানিয়েছেন ট্রাম্প।
একের পর এক দেশ কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের বিষয়টিকে নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার একটুইট বার্তায় ট্রাম্প আরো বলেন, মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় জঙ্গি অর্থায়ন ঠেকানোর আহবান জানিয়েছিলাম, এটাকে কোনোভাবেই বাড়তে দেয়া যাবে না।
এরপর আরেক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশ বলছে, তারা চরমপন্থা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে। তা দেখে খুব ভাল লাগছে। কাতারকে উদ্ধৃত করে তারা তাদের সিদ্ধান্ত ও জানিয়েছে।সন্ত্রাসবাদ শেষ করার লক্ষ্যে সম্ভবত এটাই শুভ সূচনা ।
উল্লেখ্য, সোমবার সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া, ইয়েমেন ও মালদ্বীপ কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তাদের অভিযোগ, মুসলিম ব্রাদারহুড, ইসলামিক স্টেট (আইএস), আলকায়েদাসহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীকে সহায়তা করছে কাতার।
তবে ইসলামি জঙ্গিদের সমর্থনের অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে কাতার।বরং সাতটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের বিষয়টি অযৌক্তিক পদক্ষেপ হিসেবে দাবি করছে দেশটি।
কাতারের সঙ্গে মালদ্বীপসহ মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী সাত দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর যে কুটনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে তা নিরসনে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিয়েছে কুয়েত।
সোমবার রাতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি ও কুয়েতের আমির শেখ সাবাহআল-আহমেদ আল-জাবেরআস-সাবাহর মধ্যে টেলিফোনে এব্যাপারে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।
কাতারকে এরকম সংকটের মধ্যেসহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে তুরস্ক।সমুদ্র পথে কাতারে খাবার পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে ইরান।
এসএস/