জাকারিয়া হারুন: পবিত্র রমজান মাস মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিনের জন্য সেরা দান। ছওয়াব অর্জনের ভরা বসন্ত। এ সময় ধর্মপালনের দিকে মুসলমানদের একটু বেশি ঝুঁকতে দেখা যায়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, রোজাসহ তারাবি পড়ার প্রতি ঝোঁক দেখা যায়। তারাবি পড়ার জন্য বয়স্ক থেকে শুরুকরে শিশুরাও মসজিদে গিয়ে ভিড় জমান। আর সে মসজিদ যদি হয় রাসূল সা: এর তৈরি ঐতিহাসিক মসজিদ তাহলে তো কথাই নেই।
রমজান উপলক্ষে সেখানে দর্শণার্থীর সংখ্যা সারা বছরের তুলনায় বহুগুণ বেড়ে যায়।মসজিদে নববীতে ছয় লাখ হাজির স্থান সঙ্কুলানের কথা বলা হলেও হজের সময় ১০ লাখের বেশি লোক সেখানে একসঙ্গে জমায়েত হন। চলতি রমজানের প্রথম তারাবি নামাজে মসজিদে নববীতে কয়েক লাখ মুসল্লি একসঙ্গে অংশ নিয়েছেন।
দিনের বেলা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উপেক্ষা করে মসজিদে নববীতে উপস্থিত হচ্ছেন দর্শণার্থীরা। এরপর মসজিদে নববীর একপাশে বসে তারা ইফতার করছেন।
দর্শণার্থীদের কথা বিবেচনা করে সরকারিভাবে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মসজিদের বাইরে আলোর ব্যবস্থা, ভিতরে এসি চালু করা হয়েছে। বিশেষ করে রমজান ও হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের কথা বিবেচনা করে এ ব্যবস্থা করা হয়।
মসজিদে নববী স্বয়ং ইসলামের নবী মুহাম্মদ সা. নির্মাণ করেছেন । মদীনায় হিজরতের পর সেখানে নামাজ আদায় করেছিলেন তিনি। পরে আরও অনেকেই মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করেছেন। স্মরণযোগ্য যে মসজিদে নববীতে বিশ রাকাত তারাবি হয় ।
সূত্র : আরব নিউজ