আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশের ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংকের আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানো নিয়ে যখন বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচনা চলছে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ব্যাংকের আমানতে আবগারি শুল্ক কমানো উচিত। নিশ্চয়ই সরকার বিষয়টি ভেবে দেখবে।
আজ (শনিবার) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত বাজেটোত্তর প্রতিক্রিয়া সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এম এ মান্নান বলেন, “আমরা একলাখ টাকা পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে করমুক্ত করেছি। এটা ছোট অ্যাকাউন্টধারীদের সুবিধার জন্য করা হয়েছে। আমি মনে করি, দেশের ৮০ ভাগ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ১ লাখ টাকার নিচে। এক্ষেত্রে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এটা করেছি।”
তারপরও বর্ধিত এই শুল্ক নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমি বাজারের হাওয়াটা বুঝতে পারছি। আই উইল ক্যারি দ্যা মেসেজ ব্যাক। এবং যেসব জায়গায় আমার বলার আমি বলব।”
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবে দেশে ‘অগ্নিগর্ভ’ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এটি কেন করা হলো বিষয়টি অস্পষ্ট। বর্ধিত শুল্ক শিগগির প্রত্যাহার করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে ব্যাংকের আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবেচনা করবেন।
আজ বিকেলে সিরাজগঞ্জ শহরের অফিসার্স ক্লাবে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাসিম এ কথা বলেন।
এর আগে বিকেলে আবগারি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘আবগারি শুল্ক বাড়ানোর কারণে আমানতকারী ব্যাংকে আমানত রাখতে নিরুৎসাহিত হবেন। এ ছাড়া অর্থ ব্যাংক চ্যানেলে না গিয়ে অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা কিনা অর্থনীতির জন্য শুভ নয়।’
২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ব্যাংকের আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক বাড়িয়ে এক লাখ টাকায় ৮০০ করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ব্যাংকে যাদের এক লাখ টাকা রাখার সামর্থ্য আছে তারা সম্পদশালী। তারা বাড়তি ভারটা বহন করতে পারবেন, সমস্যা হবে না।
৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী