মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


গ্রিক দেবি থেমিসকে বাঙালি বানানোর অপপ্রয়াস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুপ্রিমকোর্টের সামনে ভাস্কর্য স্থাপনের পর সেটিকে গ্রিক দেবি থেমিসের আদলে তৈরি বলা হলেও বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ভাস্কর মৃণাল হক বলেন, ‘থেমিসের সঙ্গে এই ভাস্কর্যের কোনো মিল নেই। এটি বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি। এটি কোনোভাবেই গ্রিক দেবি নয়।’

কেন হঠাৎ বাঙালি নারী প্রমাণে তিনি ব্যস্ত হয়ে উঠলেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মৃণাল হক বলেন, ‘আমি বরাবরই বলেছি, এটি কোনো দেবীর প্রতিকৃতি নয়। এটি বাঙালি নারী। এই বিতর্ক যে উঠবে, তা আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম।
বিশ্বজুড়ে ন্যয়বিচারের প্রতীক হিসেবে গ্রিক দেবী থেমিস স্বীকৃত। সেখানে শাড়ি পরিয়ে নারীর হাতে এই ন্যয়বিচারের প্রতীক ধরিয়ে দিলে সেটি বাঙালি নারী হবে কিনা প্রশ্নে মৃণাল হক বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, এটা কোনও গ্রিক দেবীর মূর্তি নয়। বরং বাঙালি নারীর ভাস্কর্য। আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিলিয়ে করা। এটার প্রচলন আছে সবখানেই।
ন্যায় বিচারকের ভূমিকায় বাঙালি নারীর অবয়ব দেখাতে চেয়েছি আমি। কেননা, বিশ্বজুড়ে বিচারালয়ে ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে যে লেডি জাস্টিজের ভাস্কর্য প্রচলিত, সেটি আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না।
কিন্তু এই ব্যাখ্যা কতটা কার্যকর বা কেন এই ব্যাখ্যায় আসতে হলো প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন এসব আলাপ জটিলতা বাড়াবে।
বাস্তবিক পক্ষে গ্রিক দেবির মূর্তি এবং সুপ্রিমকোর্টের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্যের চিত্র মিলিয়ে দেখলে স্পষ্টতই বুঝা যায় দুটোই গ্রিক দেবির মূর্তি।
এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ