রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে সরলো গ্রিক দেবি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জনগণের তুমুল দাবির মুখে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে সরলো গ্রিক দেবির ভাষ্কর্য। গতকাল রাত ১২ টার দিকে ভাষ্কর্য অপসারণের কাজ শুরু হয়।

এর আগে এই ভাস্কর্য অপসারণের দাবিতে হেফাজতে ইসলামসহ বাংলাদেশের সবকটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। ভাস্কর্যটি না সরালে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ বয়কটেরও ঘোষণা দিয়েছিল ইসলামি নেতৃবৃন্দ।

রাতে ভাস্কর্য সরানোর সময় এর নির্মাতা মৃণাল হক উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দিনভর তাঁর সাথে আলোচনা হয় এবং চাপের মুখেই এই ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

ভাস্কর্য সরিয়ে কোথায় নেয়া হবে সে ব্যাপারে সঠিক তথ্য তিনি দিতে পারেন নি।

সুপ্রিমকোর্ট থেকে ভাস্কর্য সরানোয় হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে থেমিস দেবীর মূর্তি (ভাস্কর্য) বসিয়ে দেওয়া মানে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সাথে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়া এবং দেবীর মূর্তি স্থাপন সংবিধান বিরোধী, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বোধ-বিশ্বাসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ, নির্বাহী বিভাগের আওতাধীন এলাকায় এককভাবে থেমিস দেবীর মূর্তি স্থাপন করা মানে অনধিকার চর্চা, মূর্তিকে সার্বজনীনতা দেওয়ার অপচেষ্টা, যা নৈতিকতা ও আইনবিরোধী , মূর্তি স্থাপন গণতন্ত্রের প্রতি চরম কুঠারাঘাত,দেবীর স্থাপন সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক, এই মূর্তি দেশ, জাতি ও গণমানুষের চেতনার পরিপন্থী।

এদিকে ভাস্কর্য অপসারণের খবর পেয়ে মধ্যরাতেই সুপ্রিম কোর্টের গেটের সামনে জড়ো হয় কিছু প্রতিবাদকারী। তারা ভাস্কর্য অপসারণের বিরোধিতা করে প্রধান ফটক ও সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠন কর্মসূচি ঘোষণা করে।

ভাস্কর্য সরানোয় প্রধানমন্ত্রীকে হেফাজতের ধন্যবাদ


সম্পর্কিত খবর