আগামী অর্থবছরের (২০১৭-১৮) বাজেট হবে নির্বাচনি বাজেট। এটি হবে বর্তমান সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। অবশ্য বর্তমান সরকার এর পরের অর্থবছরেও (২০১৮-১৯) বাজেট দেবে তবে তা হবে ৬ মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন।
প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকার বাজেটে এবার সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত এবং সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে মানবসম্পদ উন্নয়ন খাত। নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করারোপের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর সব কিছুই অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ নাও থাকতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এবারে বাজেটে ভর্তুকির প্রাক্কলন করা হয়েছে ২৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছর ভর্তুকিবাবদ বরাদ্দ ছিল ২৩ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। এ বছর কৃষি ও খাদ্য খাতে ভর্তুকি বাড়লেও আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম থাকায় জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে কোনও ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে না।
নতুন ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষ হবে ২০১৮ সালের ৩০ জুন। আর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে যেন ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ না হন, সেদিকে নজর রেখে সংশোধন করে কমানো হবে ভ্যাটের হারও।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘অবশ্যই নির্বাচনের বিষয়টি দেখতে হবে। রাজস্ব আদায় না হলে জনগণের উন্নয়ন হবে কী করে? জনগণকে সুবিধা দিতে রাজস্ব আয়ের কোনও বিকল্প নেই। তবে রাজস্ব আদায় করতে গিয়ে যেন জনগণ ভোগান্তিতে না পড়ে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।’
আগামী অর্থ বছরের বাজেটের সম্ভাব্য আকার হরে পারে ৪ লাখ কোটি টাকার ওপরে। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের আকার হচ্ছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। শতকরা হিসাবে বাজেট বৃদ্ধির হার ১৬ দশমিক ৫১ শতাংশের বেশি।
সব কিছু ঠিক থাকলে ১ জুন জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত হবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। এর আগে ৩০ মে চলমান ১০ম জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশন (যা বাজেট অধিবেশন নামেই পরিচিতি) ডেকেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এটি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের একটানা ৯ম বাজেট। এর আগে তিনি এরশাদ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে আরও ২টি বাজেট পেশ করেছিলেন।
এসএস/