ইমতিয়াজ আহমেদ,ইউ.কে: ম্যানচেস্টার হামলায় জন্য অনেকে মুসলমানদেরকে দায়ি করা সত্তেও আহতদের সেবায় মুসলমানরাই সবার আগে এগিয়ে এসেছ।
মুসলিম ট্যাক্সি ড্রাইভারগণ আহতদের সাহায্য করে সংবাদের শিরোনামও হয়েছেন। তার বিনা ভাড়ায় আহতদেরকে হাসপাতাল এবং তাদের বাসা পর্যন্তও পৌঁছে দিয়েছেন।
মুসলিম ট্যাক্সি ড্রাইভারদের এমন উত্তম কাজের জন্য টুইটারে প্রশংসায় ভরে গেছে। বহু অমুসলিম মুসলিম ট্যাক্সি ড্রাইভারদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তারা লিখেছেন সবাই জানুক, মুসলমানরা সন্ত্রাসী নয়, বরং মুসলমানরাই পৃথিবীর জন্য শান্তির দূত।
ম্যানচেস্টারে বেশীর ভাগ ট্যাক্সি ড্রাইভার মুসলমান এবং তাদের অধিকাংশই পাকিস্তানের নাগরিক। কিছু মুসলিম চিকিৎসক বিনামূল্যে আহতদের সেবা দেন এবং তাদের জীবনরক্ষার জন্য সারারাত তাদের ডিসপেনসারি খোলা রাখেন।
ট্যাক্সি ড্রাইভার ও চিকিৎসক ছাড়াও স্থানীয় মুসলমানরাও আহতদের বাঁচানোর জন্য চেষ্টার কোনো ত্রুটি করেননি। ম্যানচেস্টারের এক মসজিদের ইমাম সাহেব আবু ঈসা নেয়ামাতুল্লাহ তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন, যে কোনোভাবেই হোক হামলায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করা হোক।
ইমাম সাহেব তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমাদের উচিত এ ধরনের ঘটনার কারণে নিজেদের কমিউনিটিকে বিভক্ত না করা। মোটকথা কিছু মানুষ আমাদের ক্ষতি করতে চাচ্ছে। এ ধরনের ভয়াবহ আক্রমণের সময় আমাদের একে অপরকে সাহায্য করা উচিত। এ সময় আমাদের একে অপরের সাহায্যকারী হওয়া উচিত এবং একে অপরের জন্য যেভাবেই হোক সাহায্যে এগিয়ে আসা উচিত।
[বৃটেনে কনসার্টে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১৯]
ব্রিটেনের বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনও এগিয়ে এসেছে আহতদের সাহায্যার্তে । বেসরকারি সংগঠন মুসলিম এনগেজমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট আহতদের জন্য সংগ্রহ করেছে সংগ্রহ করেছে ২ হাজার ৩ শতাধিক পাউন্ড।
সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাজাদ আমিন বলেছেন, যারা বিপদে পড়েন, তারা যে ধর্মেরই হোন না কেন, তাদেরকে সহায়তা করা আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের মৌলিক উপাদান। এই নৃশংসতার শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অবস্থান করছেন মুসলিমরা।
এসএস/