উবায়দুল্লাহ সাআদ: আগামী ২৫ মে বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিতব্য মিলাদ কিয়াম বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় বাহাস নিয়ে ৯ মে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। তবে অনেক বিষয় সুরাহাহীন রেখেই বৈঠক শেষ করতে হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় পল্টনের ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে মিলাদ কিয়ামের পক্ষে থাকা মুফতি এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর ১০ জন প্রতিনিধি ও বিপক্ষে থাকা মাওলানা লুৎফুর রহমান ফরাজী এবং মাওলানা শামসুদ্দোহা আশরাফীসহ ৭ জনের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আগামী ২৫ মে’র বাহাস নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা হয়। এতে নতুন করে সদস্য যোগ করাসহ নানা বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন উভয় পক্ষ। তবে বাহাসের জন্য নতুন করে কিছু শর্ত যোগ করতে চান মুফতি এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর প্রতিনিধিরা।
বৈঠক শেষে সিন্ধান্ত হয় আগামী ২৫ মে বাহাস হবে। এর আগে দুই দলের মধ্য থেকে একটি লিয়াজু কমিটি করা হয়েছে। মাওলানা লুৎফুর রহমান ফরাজী গ্রুপের নেতৃত্ব দিবেন অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, মাওলানা এমদাদ হুসাইন, আ. সবুর। এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর গ্রুপের নেতৃত্ব দিবেন মাওলানা মন্জুর, মাহদী, সাইফুদ্দীন। বাহাস কোথায় হবে, কিভাবে হবে তা নির্ধারন করবে লিয়াজু কমিটি।
বৈঠক বিষয়ে আহলে হক্বদের প্রতিনিধি মাওলানা লুৎফুর রহমান ফরাজী ও মাওলানা শামসুদ্দোহা আশরাফী আওয়ার ইসলামকে বলেন, আজকে বসার উদ্দেশ্য ছিল যারা বাহাস করবে তাদের স্বাক্ষর করা কাগজ (দলীল) আদান-প্রদান করা। একে অপরের কাগজ দেখা ভুল হলে সংশোধন করা।
[মাদরাসার ছেলেরা নেশা করেন না তাদের রক্ত ১০০% খাঁটি (ভিডিও)]
লুতফুর রহমান ফরাজী অভিযোগ করে বলেন, কথা অনুযায়ী তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে রাজি হয়নি।
তিনি বলেন, এখন তারা শর্ত পরিবর্তন করে বহস করতে আগ্রহী। তারা দাবি করছে কিছু সিদ্ধান্ত তাদের ভুল ছিল।
বাহাসে উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, বাহসটা মূল উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে কাছাকাছি আসার চেষ্টা করা এবং নীজেদের মাঝে ছোট ছোট ভুলগুলিকে পিছনে ফেলে এক হয়ে কাজ করা।
বৈঠকে অংশ নেয়া একাধিক ব্যক্তি মুফতি এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর প্রতিনিধিদের আচরণে মর্মাহত হয়েছেন। তারা এক পর্যায়ে উচ্চবাচ্যও করেন। আওয়ার ইসলামের প্রতিনিধি পরিচয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলেননি এমনকি দুর্ব্যবহার করতেও উদ্ব্যত হন।