নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সুসংহত ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ১৫টি প্রস্তাবনা দিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
মঙ্গলবার বিকালে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠকে সুজনের প্রতিনিধি দল এ প্রস্তাবনা দেন।
বৈঠকে সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, সুজন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সকল স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীগণ প্রদত্ত হলফনামা ও আয়কর রিটার্নের কপি সংগ্রহ করে সেগুলোর তুলনামূলক চিত্র তৈরি করে ভোটারদের মাঝে বিতরণের পাশাপাশি তথ্যসমূহ ওয়েব সাইটে প্রদান ও সংরক্ষণ করে থাকে। একই সঙ্গে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এক মঞ্চে এনে ‘জনগণের মুখোমুখি’ অনুষ্ঠানের আয়োজনও করে থাকি। এছাড়া গত এক দশকে নির্বাচনী সংস্কার ধারণা উত্থাপন এবং সেগুলো সম্পর্কে জনমত সৃষ্টির ক্ষেত্রে আমরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছি। শুধু তাই নয় অতীতে আমরা সংস্কার প্রস্তাবের আলোকে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ’ তথা মূল নির্বাচনী আইনের সংশোধিত খসড়া নির্বাচন কমিশনে পেশ করি।
এ সময় সুজনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে ১৫ টি প্রস্তাবনা তুলে ধরে। সেগুলো হলো- ভোটার তালিকায় জেন্ডার গ্যাপ দূরকরণ, ভোটারের সমতার ভিত্তিতে সীমানা পুনঃনির্ধারণ, বেশকিছু আইন সংস্করণ, মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ, দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রাখা, দ্রুত নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তি, হলফনামার তথ্য যাচাই/বাছাই, নির্বাচনী ব্যয়ের তথ্য নিরীক্ষণ ও বাছাই করা, ইউপি নির্বাচনে হলফনামা সংযুক্ত, কমিশনে নিয়োগে যুগোপযুগী আইন প্রণয়ন, সহিংসতা রোধে কার্যকরি উদ্যোগ, নির্বাচনী ব্যয়সীমা কমিয়ে আনা, রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন ও বৈদেশিক শাখা বন্ধ, দলভিত্তিক স্থানীয় নির্বাচন বন্ধ করা ও সোসাল মিডিয়ার জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন।
বৈঠক শেষে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আশ্বাস দিয়েছেন যে তারা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে যা যা করণীয় তা করতে বদ্ধ পরিকর।
বৈঠকে সিইসি কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সুজনের প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ, ড. হামিদা হোসেন, ড. তোফায়েল আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মুসবাহ আলীম, সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার ও সহযোগী সমন্বয়কারী সানজিদা হক বিপাশা প্রমুখ।
রাষ্ট্রের দুটি অঙ্গ ব্যর্থ হলে বিচার বিভাগ নীরব থাকতে পারে না: এস কে সিনহা