উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তপ্ত সম্পর্কে যে আরো উত্তপ্ত হচ্ছে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ ফলে ইউএসএস কার্ল ভিনসনকে অবস্থান নিচ্ছে উত্তর কোরিয়ার কাছাকাছি সমুদ্র অঞ্চলে৷ চলুন জেনে নিই এই বিমানবাহী রণতরিটি সম্পর্কে৷
সেই ১৯৮৩ সালে সমুদ্রযাত্রা
মার্কিন বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস কার্ল ভিনসন সেই ১৯৮৩ সালে সমুদ্রযাত্রা শুরু করে৷ পরবর্তীতে একাধিকবার এটির সংস্কার করা হয়৷ জর্জিয়ার কংগ্রেসম্যান কার্ল ভিনসনের নামে এটির নামকরণ করা হয়েছে৷ বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার কাছাকাছি অবস্থান করছে বিমানবাহী রণতরিটি৷
অন্যতম বড় বিমানবাহী রণতরি
৯৭,০০০ টন ওজনের বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজটিতে রয়েছে টমহক মিসাইল, কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান এবং অন্তত পাঁচ হাজার যুদ্ধ জাহাজ৷ এটি মার্কিন নৌ বাহিনীর কাছ থেকে নিমিৎস সিরিজের দশটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার্ড বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের তৃতীয়টি৷ নিউক্লিয়ার পাওয়ার্ড হওয়ায় এটি বিশ বছর পর্যন্ত কোনো রকম জ্বালানি ছাড়াই চলতে পারে৷
ঘন্টায় ৩৫ মাইল
ভিনসনে চারটি প্রপেলার রয়েছে, যা দিয়ে এটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ মাইল বেড়ে চলতে পারে৷ এটি ১০৯২ ফিট লম্বা এবং ২৫২ ফিট চওড়া৷ ছবিতে রণতরিটির পাশে একটি হেলিকপ্টারকে সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে৷
‘গোল্ড ইগল’
দক্ষিণ চীন সাগরে মোতায়েন ভিনসনের ডাকনাম হচ্ছে ‘গোল্ড ইগল৷’ ২০০১ সালে একটি ছবির শুটিং করা হয়েছে যুদ্ধজাহাজটিতে৷
ওসামা বিন লাদেনের মরদেহ
আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানে মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার পর তার মরদেহ কার্ল ভিনসনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়৷ এই জাহাজ থেকে মরদেহটি সমুদ্রে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছিল বলেও গুজব রয়েছে৷
ইরাক যুদ্ধে ভিনসন
১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে পারস্য উপসাগরে মোতায়েন ছিল ভিনসন৷ সেখান থেকেই ইরাকে মার্কিন হামলায় ভূমিকা রাখে রণতরিটি৷ সেই সময় ১১টি যুদ্ধবিমান এই রণতরি থেকে উড়ে গিয়ে ইরাকের পঞ্চাশটি স্থানে হামলা চালিয়েছিল৷
উত্তর কোরিয়ার হামলা প্রতিরোধে কি সক্ষম?
বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার চোখ রাঙানির জবাব দিতে ইউএসএস কার্ল ভিনসনকে সামনে ঠেলে দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ কিন্তু নিউজ উইকের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া ব্যালেস্টিক মিশাইল ছুড়লে তা ধ্বংসের ক্ষমতা রণতরিটির নেই৷ মার্কিন নেভি অবশ্য জানিয়েছে, ভিনসন উত্তর কোরিয়ার যে কোনো হামলাই প্রতিরোধে সক্ষম৷
ফতোয়া বিভাগের জন্য নীতিমালা জরুরি: ফিকহবিদদের অভিমত
সূত্র: ডিডব্লিউ