বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না এটা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেলের (ওবায়দুল কাদের) বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে। একটি দলের সেক্রেটারি জেনারেল যা বলে তা থেকে বুঝে নেওয়া যায় তাদের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি কি। তিনি বানিয়ে বলছেন না। তিনি সত্যই বলেছেন। তাদের পালাবার সময় হয়ে গেছে। তাই তারা সম্পদ গুটাতে ব্যস্ত। কাজেই তারা পালাবার জন্য তৈরি হোক, আর আমরা জনগণের জন্য, দেশ রক্ষার করার জন্য, অধিকার রক্ষার জন্য তৈরি হই।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে শ্রমিক দলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, পুলিশকে দিয়ে তারা ক্ষমতায় টিকে আছে। পুলিশ দিয়ে জনগণের ওপর অত্যাচার করছে। ভাবছে পুলিশ দিয়ে আগামীতেও ক্ষমতায় টিকে থাকবে। জোর জবরদস্তি করে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ফন্দিফিকির করছে। সেই জন্যই তারা বলছে, আগামী নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ কোনোভাবে ক্ষমতায় না আসতে পারে তাহলে খাপারভাবে তারা যে টাকা পয়সা সম্পদের পাহাড় বানিয়েছি তা রক্ষা হবে না।’ তাহেল বুঝতে পারছেন দেশে মানুষের মধ্যে তাদের অবস্খান নেই।
তিনি বলেন, সেজন্য আমরা বারবার বলেছি এদের অধীনে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। যতগুলো নির্বাচন হলো সবগুলোতে কত রকম চুরি করা হয়েছে! কুমিল্লা নির্বাচনে আমরা জিততাম ৫০ হাজার ভোটে সেখানে জিতেছে ১০ হাজার ভোটে।
খালেদা জিয়া বলেন, আমদের অনেকেই পাশ থেকে বলে দেয়, আপনারা কেন বসে আছেন? আপনারা কিছূ একটা করেন। আমদেরকে এই অবস্থা থেকে রক্ষা করেন। কিছু একটা করতে হবে। গণতন্ত্রের মাধ্যমেই দেশের মানুষের যে অধিকার আমরা ফিরিয়ে আনবো।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমাদের কাউন্সিলের মাধ্যমে মূল দল হয়েছে। অন্যান্য সংগঠনগুলোর পুনর্গঠিত হয়েছে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল মহিলাদল হয়েছে। সারাদেশে বিভিন্ন জেলায় দল সংগঠিত হচ্ছে। মহানগর পুনর্গঠিত হয়েছে। যতই আমাদের সংগঠগুলো শক্তিশালী হবে ততই লূটেরাদের ভয় বাড়বে।
তিনি বলেন, ‘লুটেরাদের জনগণ ভোট দিবে না। ৫ জানুয়ারি ১৫৪টি আসন চুরি করে নিয়েছিল। এবার সেটাও সম্ভব হবে না। কাজেই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে যারা জনগণের ভোটের নির্বাচন হয়ে আসে, আবার জনগণের ভোট দেবে সেটা মাথা রেখে কাজ করা উচিত।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষকে মানুষ মনে করে না। তারা মনে করে পুলিশ বাহিনী আছে, তাদের দিয়ে যা ইচ্ছা তাই করতে পারবো্। গুম, হত্যা, খুন ১০ বছর ধরে এই কাজ করছে। এগুলো প্রতিটির হিসেবে আছে। যারা আপন জন হারিয়েছে তাদের মনে আছে।’
শ্রমিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সকলকে সঙ্গে নিয়ে, দরকারে হলে ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে হবে। শুধু ঢাকাতে নয় সারাদেশে শ্রমিক দলকে সুসংগঠিত করতে হবে।’
এসময় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, শ্রমিক দল নেতা সালাহ উদ্দিন সরকার, আবুল খায়ের খাজা, মো. আবুল হোসেন, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কাজী আমীর খসরু, মহানগর উত্তরের সভাপতি জুলফিকার মতিন, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদল প্রমুখ।
এক বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন খালেদা জিয়া!
৩০০ আসনে ৯০০ প্রার্থী প্রস্তুত বিএনপির!