আওয়ার ইসলাম : রাজনৈতিক অঙ্গণে আসতে শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচনের আমেজ। আগামী বছর ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে হওয়ার কথা রয়েছে একাদশ জাতীয় নির্বাচন।
“সেক্ষেত্রে ইসি সচিবালয় ও মাঠ কর্মকর্তারা তা বাস্তবায়ন করবে।”
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ছয়টি সিটি করপোরেশনের ভোট শেষ হবে। পাশাপাশি চলবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ। এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কার ও নতুন দলের নিবন্ধনের আবেদন চাইবে কমিশন।
সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে নিয়ে মাঠ পর্যায়ের ও ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় সভাও করে ফেলেছে কমিশন। বৃহস্পতিবারের ওই সভায় সিইসি, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভোটের রাজনীতিতে কওমি স্বীকৃতির ধাক্কা!
কমিশনের সমন্বয় সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিইসি কর্মকর্তাদের সার্বিক তথ্য উপস্থাপন করে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগেই শেষ করার কথা জানান তিনি।
জাতীয় নির্বাচনের জন্য কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে সিইসি বলেন, “নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করুন, কাজের প্রায়োরিটি নির্ধারণ করুন। কি কি চ্যালেঞ্জ আছে তা নির্ধারণ করুন, কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তা ঠিক করুন।”
প্রতিটি নির্বাচনে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিতের নির্দেশ কে এম নূরুল হুদা।
“আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এবং আশা করছি, সব দলের অংশগ্রহণে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের দায়িত্ব হলো নির্বাচনে সব দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা; সবার জন্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা; প্রতিটি ভোটার যাতে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারে তার ব্যবস্থা করা।”
-এআরকে