রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ঘূর্ণিঝড়ে ২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২টি মসজিদ ও একটি নৌ-পুলিশ ফাঁড়িসহ দুই শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া পাঁচ শতাধিক গাছপালাও উপড়ে গেছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১ টা থেকে ২টা পর্যন্ত মেঘনা উপকূলীয় স্থানীয় চরগাজী ও বড়খেরী ইউনিয়নে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোন ত্রাণ সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তবে তালিকা তৈরীর কাজ চলছে বলে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, দুপুরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। হঠাৎ ঘূর্নিঝড় শুরু হয়। দুপুর ১ টা থেকে ২টা পর্যন্ত ভারী বর্ষণ ও দমকা হাওয়া চলছিল। এসময় রামগতি বি.বি.কে পাইলট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও রামগতি আছিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও দুটি মসজিদসহ চরলক্ষ্মী গ্রামে শতাধিক কাঁচা ঘর বাড়ী বিধ্বস্ত হয়। একই সময়ে পাশবর্তী বড়খেরী ইউনিয়নের নৌপুলিশ ফাঁড়িসহ রঘুনাথপুর গ্রাম ও বড়খেরী গ্রামেরও শতাধিক ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয় বলে স্থানীয়রা জানান। এসময় ঘরের নিচে চাপা পড়ে অন্তত পক্ষে ১০ জন আহত হন, তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।

এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ে মাগুরা সদর উপজেলার পয়ারী ধর্মদাহ, কালুপাড়া ও পথেরহাট গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এসময় ৪০টি পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির পাশাপাশি প্রায় ২০০ একর জমির ধান, একাধিক পানের বরজের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার বিকেল ও রাতে হওয়া ঝড়ে উপড়ে গেছে বৈদ্যুতিক পিলারসহ অসংখ্য গাছপালা।

এলাকাবাসী জানায়, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পয়ারী ও পথেরহাট গ্রামে। এ দুটি গ্রামের প্রায় ৩০টি বসতঘর ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এছাড়া ১১ হাজার কেভির ৪টি বৈদ্যুতিক পিলার উপড়ে পড়ায় এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষয়-ক্ষতির খবর শুনে এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। গ্রাম চারটির ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে তথ্য সংগ্রহের কাজ করা হচ্ছে। মাগুরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

এছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের খবর পাওয়া গেছে।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ