নিহত হওয়ার টানা ৯মাস পরে লাশ দাফন হলো বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আবু হানিফ হাওলাদারের।
সোমবার বেলা ৪টায় সুতালড়ী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। আবু হানিফ হাওলাদার স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ছিলেন। গেল বছরের ৫ জুলাই পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু হানিফকে(৩৮) হত্যা করে একটি কাপড়ের দোকানের মধ্যে রেখে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ৫টি কাপড়ের দোকানসহ হানিফের মৃতদেহ পুড়ে বিকৃত হয়ে যায়।
ঘটনার পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম করিয়ে অজ্ঞাত লাশ হিসেবে বাগেরহাটে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করে।
ওই সময় নিহত হানিফের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে কোর্টে অভিযোগ দায়ের করলে, কোর্ট লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষা করাসহ লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমাগারে রাখার নির্দেশ দেন। ডিএনএ পরীক্ষায় এটি হানিফের লাশ বলে প্রমানিত হওয়ায় গত ২৫এপ্রিল থানা পুলিশ কোর্টে দায়ের করা অভিযোগটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করে।
দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আজ হানিফের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম খুলনা মেডিকেলের হিমাগার থেকে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। বিকেল ৩টায় কাপুড়িয়াপট্টিতে তার যানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। যানাজা নামাজে পৌরসভার মেয়র মনিরুল হক তালূকদার, যুবলীগ আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মোজাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক খান শহিদুল ইসলাম হানিফের হত্যাকারীদের গ্রেফতাদের দাবি জানিয়ে বক্তৃতা করেন। এ সময় নিহত হানিফের স্ত্রী, শিশু পুত্র আসিফ (১১), মেয়ে হেনা আক্তার(১৩) ও বাজারের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
[কওমির ১৪ লাখ শিক্ষার্থীকে ফেলে রেখে আমরা এ]গুতে পারি না]
[যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর নয়, আমৃত্যু কারাবাস]
এসএস/