ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের আগমন ঠেকাতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ।
এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার চার উপজেলাতেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মন্ত্রী ছায়েদুল হকের অনুষ্ঠান নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করায় ৪ উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে রবিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এদিকে, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, মন্ত্রীর আগমন ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। অন্তত ২০ হাজার মানুষ মন্ত্রীর আগমন ঠেকাতে রাজপথে অবস্থান নেবে। অপরদিকে, সরকারি অনুষ্ঠান যেকোন মূল্যে করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে মন্ত্রীর অনুগতরা।
উল্লেখ্য, আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নবনির্মিত উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল উদ্বোধন ও সুধি সমাবেশে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাড. ছায়েদুল হকের। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. তানভীর ভূঁইয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মন্ত্রী ছায়েদুল হকের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেন।
পরে এদিন বিকেলেই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠন রবিবার বিজয়নগরে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন। এরপর শুক্রবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে মারধর ও কার্যালয় ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া দুর্বৃত্তরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নামফলকও ভেঙে দেয়।
এসএস/