কারমেন আর লুপিতার দুই যমজ বোন। শুধু জন্মগত যমজ নয় শারীরিকভাবেও তারা যমজ। আমেরিকা মেক্সিকান শরনার্থী পরিবারে জোড়া দেহ নিয়ে তাদের জন্ম।
কারমেন আর লুপিতার একটি করে হৃদপিণ্ড, দুটি করে হাত, একটি করে ফুসফুস থাকলেও তাদের পাঁজরের খাঁচা থেকে শরীরের বাকি অংশ কমন। চার বছর বয়সে তারা হাঁটতে শেখে। তার পর থেকে ১২ বছর তারা কদম কদম এগিয়েছে। বুঝতে শিখেছে জীবনের মানে। জন্মের পরেই ডাক্তাররা তাদের আলাদা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এতে বিপদের সম্ভাবনা ছিল বলে করা হয়ে ওঠেনি।
১৬ বছর পর আবার চিকিৎসকরা নড়েচড়ে বসেছেন কারমেন আর লুপিতার কেস নিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, এই সময়ে তাদের আলাদা না করলে বিপদ দেখা দিতে পারে দু’জনেরই। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কারমেন আর লুপিতা দু’জনেই জানিয়েছে, তাদের এই অস্ত্রোপচারে মত নেই। কারণ, তারা এই ১৬ বছর ধরে যে জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে, তাতে তারা পরস্পরের থেকে আলাদা হলে মানসিকভাবেই ভেঙে পড়বে।
অস্ত্রোপচারে ভয় ছাড়াও আর একটা ভয় কারমেন আর লুপিতার পরিবারকে তাড়া করছে। এই পরিবারটি মেক্সিকো থেকে আগত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেক্সিকান শরণার্থী-সংক্রান্ত বিরোধীতা তাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। যেকোনো দিন আমেরিকা ছেড়ে চলে যাওয়ার আদেশ আসতে পারে, এই ভেবে চিন্তিত কারমেন আর লুপিতা আন্দ্রাদের পরিবার। আমেরিকা ছাড়লে সেখানকার চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবে কারমেন ও লুপিতা। সেই বিপদের দিনে কী হবে ভেবে শঙ্কিত তাদের পরিবার। সূত্র: এবেলা।