কামরাঙ্গির চর থেকে উবায়দুল্লাহ সাআদ: বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা, সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুজুর্গ হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমরে প্রথম খতীব মুফতি আমীমুল ইহসান রহ. এর নাম অন্যায়ভাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও সড়ক থেকে তাদের নাম অপসারণের প্রতিবাদে ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটি উদ্দোগে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন শুরু হয়েছে।
সকাল দশটায় কামরাঙ্গির চরে জামিয়া নূরিয়ায় এ সম্মেলন শুরু হয়। এতে দেশের শীর্ষ আলেমগণ উপস্থিত হয়েছেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক হাফেজ মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী।
সভায় ইমান আকিরা রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা মাহফুজুল হক সভাপতির লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, হাফেজ্জী হুজুর রহ. মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন এটি হলো জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই। আজ তাকেই রাজাকার বানানোর জন্য মুনতাসির মামুন ও শাহরিয়ার কবির গংরা উঠে পড়ে লেগেছে।
তিনি বলেন, সড়কে কারো নাম থাকলে বা না থাকলে কোনো যায় আসে না, কিন্তু যখন তাদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে সেটি নিয়ে কেন পুতুল খেলা। হাফেজ্জী হুজুরের নাম কারো আন্দোলন বা দাবিতে সংযোজন হয়নি, ঢাকার প্রথম মেয়র মোহাম্মদ হানিফ সাহেব সপ্রণোদিত হয়ে সড়কের নাম রেখেছিলেন। সুতরাং তাদের নাম পুনরায় লিপিবদ্ধ করে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দৃষ্টান্ত শাস্তি দিতে হবে।
অতিথীদের বক্তৃতায় কেরানীগঞ্জের বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা আব্দুল গনি বলেন, আমরা জানি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাফেজ্জী হুজুর রহ.কে নানা সম্মোধন করেন। সে দিক থেকে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই, একটি চিহ্নিত মহল হাফেজ্জী হুজুর ও মুফতি আমীমুল ইহসান রহ.কে রাজাকার বানানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আপনি তাদের প্রতিহত করুন।
জামিয়া রাহমানিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আমাদের বাবার উপর আঘাত এসেছে, ছেলেরা বসে থাকতে পারে না। আমরা চাই অচিরেই হাফেজ্জী হুজুর ও মুফতি আমিমুল ইহসান রহ. এর ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা প্রত্যাহার হবে, অন্যথায় কঠোর আন্দোলন নামবে এদেশের তওহিদি জনতা।
মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সঞ্চালয়না সম্মেলনে উপস্থিত আছেন, জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগের মুহতামিম আল্লামা আশরাফ আলী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, জামিয়া নূরিয়ার শিক্ষক মাওলানা সোলায়মান নোমানী, জামিয়া রাহমানিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা মামুনুল হক, প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হাফেজ্জি হুজুর ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের প্রথম খতিব মুফতি আমিমুল ইহসান রহ. এর নামে সড়কের নামকরণ বাতিল করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এ নির্দেশনা অনুযায়ী সড়ক দুটির সব স্থাপনা থেকে নাম দুটি মুছে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পত্রিকায় প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাইকোর্টের ৫৫৩১/২০২১ নং রিট পিটিশনের আদেশের সঙ্গে সংযুক্ত তালিকার ১৪নং ক্রমিকে উল্লেখিত নির্দেশনা অনুযায়ী সড়ক দুটির নামকরণ বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
অনুষ্ঠানটি ঘরে বসে লাইভ দেখতে আওয়ার ইসলামের ফেসবুক পেইজ-এ থাকুন।