ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত ১১ এপ্রিল গণভবনে আলেমগণের সাথে মতবিনিময় সভায় কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে সরকারিভাবে মাস্টার্স-এর মান প্রদান এবং সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত গ্রীক মূর্তির বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নন্দিত ও প্রশংসনীয় উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু এই ঘোষণার পরই একশ্রেণির ইসলাম বিদ্বেষীচক্র একের পর এক সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী ও আলেম-ওলামাদের প্রতি বিষেদগার করে অমার্জনীয় অপরাধের শামিল জঘণ্য মন্তব্য করে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, সরকারের ভেতরে থেকে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা নিজেদের শপথ ভঙ্গ করেছে এবং তদের স্বপদে বহাল রাখা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত তা সরকারকেই ভেবে দেখতে হবে।
বিবৃতিতে মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেন, কওমি ওলামায়ে কেরাম উদার, মধ্যপন্তী ও ধৈর্যশীল। বিরোধী শিবিরের নানা কটু মন্তব্য সত্ত্বেও তারা সহনশীলতার পথেই অটল ও অবিচল আছেন। কিন্তু সম্প্রতি জাসদ নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল আলেমদের যে অশ্রাব্য ও বিশ্রী ভাষায় গালাগাল করেছে, তাতে এদেশের আলেম-ওলামা ও দ্বীনদার জনতা ক্ষুদ্ধ, ক্রদ্ধ ও ব্যথিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আলেমদের সাথে সরকারের মতবিনিময়, কওমি সনদের স্বীকৃতি, প্রধানমন্ত্রীর মূর্তিবিরোধী অবস্থান ইসলামবিরোধী শক্তির জন্য এক বিরাট চপেটাঘাত। নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন অপশক্তি এখন আজে বাজে বকতে শুরু করেছে। এভাবে অন্তর্দহনে জ্বলে পুড়েই তারা নিঃশেষ হবে। ইসলাম বিদ্বেষীদের কোন অপতৎপরতা বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়া হবে না।
মুফতী ফয়জুল্লাহ আরও বলেন, বাংলাদেশের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। এদেশে উগ্র ইসলাম বিদ্বেষীদের ঠাঁই কখনোই ছিল না, ভবিষ্যতেও হবে না। যারা করুণাঃবশত মন্ত্রী-এমপি হয়ে আজ ইসলাম, মুসলমানদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তাগুতের পক্ষে গলা ছেড়ে কথা বলছে, অচিরেই তারা পরাজিত হবে। ইসলামের বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনজনকে একাই ধরাশায়ী করলেন মুফতি ফয়জুল্লাহ
কওমি মাদরাসায় যেসব বিষয় পড়ানো হয়
কওমি স্বীকৃতিকে কোনো সংকীর্ণ জায়গা থেকে দেখা উচিৎ হবে না: মিজানুর রহমান খান