আফগানিস্তানের বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফের একটি সেনাঘাঁটিতে তালেবান হামলায় নিহত সেনা সদস্যের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১৪০ জন হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। এক আফগান কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে। আবার কোনও কোনও কর্মকর্তা মনে করছেন প্রাণহানির সংখ্যা আরও বেশি। তবে আফগান সরকারের পক্ষ থেকে এখনও নিহতের এ সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি। এ হামলাকে আফগান সেনাঘাঁটিতে হওয়া এ যাবতকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
আফগান সেনা মুখপাত্র নাসরাতুল্লাহ জামশিদি জানান, বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফের সেনা ঘাঁটির একটি মসজিদের কাছে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) এ হামলা হয়। হামলার সময় সেনা সদস্যরা শুক্রবারের নামাজ পরে বের হচ্ছিলেন। সামরিক পোশাকে এবং দুটি সামরিক যানে করে সেনাঘাঁটির গেটে হাজির হয় ছয় হামলাকারী। নিরাপত্তারক্ষীকে তারা বলে ওই গাড়িগুলোতে করে আহত সেনাদের নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের জরুরি ভিত্তিতে ভেতরে ঢোকা প্রয়োজন। পরে সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলার পাশাপাশি গুলি করতে থাকে তারা। প্রাথমিকভাবে আফগান সেনা মুখপাত্র নাসরাতুল্লাহ জামশিদি জানিয়েছিলেন হামলাকারীরা ৮ সেনাকে হত্যা করে এবং ১১ জনকে আহত করে। পাল্টা হামলায় এক হামলাকারী নিহত এবং ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয় বলেও জানান তিনি।
নাম প্রকাশ না করে এক আফগান কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামলায় অন্তত ১৪০ জন নিহত হয়েছে। এর আগে নিহতের সংখ্যা ২০-৫০ জন বলে জানানো হয়েছিল।
এদিকে হামলার দায় স্বীকার করে তালেবান জানিয়েছে, তাদের হামলাকারীরা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রথমেই ঘাঁটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়েছে। সম্প্রতি আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবানের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হত্যার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলেও দাবি করেছে সংগঠনটি।
আফগানিস্তানে মোতায়েনকৃত বিদেশি সেনা সদস্যরা প্রায়ই ঘাঁটিটি ব্যবহার করে থাকে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এ ঘাঁটিতে তারা আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিয়ে থাকেন। তবে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন জোটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ হামলার ঘটনায় কোনও বিদেশি সেনা মোতায়েন হয়নি।