কওমি মাদরাসা শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন খুলনাসহ দক্ষিণবঙ্গের আলেমরা। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘দক্ষিণবঙ্গ কওমি উলামা মাশায়েখ’ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিনন্দন জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১ ও ২০৪১-কে সামনে রেখে তার এ সিদ্ধান্ত একটি যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত। কওমি অঙ্গনের প্রায় ২০ লাখ ছাত্রকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’
বিগত চারদলীয় ঐক্যজোট সম্পর্কে বলা হয়, তাদের আমলে কওমি মাদরাসা সনদ স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল। শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ. এ দাবিতে মুক্তাঙ্গনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছিলেন। তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার এসময় কোনো সৌজন্য রক্ষা করেনি। বরং তাদের সরকারের মেয়াদের আগমুহূর্তে ঘটা করে একটি প্রহসনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।
গত ১১ এপ্রিল আল্লামা শাহ আহমাদ শফীর নেতৃত্বে তিন শতাধিক শীর্ষ আলেমের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কওমী শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়ে যে ঘোষণা করেছেন তা ইতিহাস হয়ে রইবে বলে মনে করেন খুলনার আলেমরা।
সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান সরকারের লক্ষ মোতাবেক দেশ নির্মাণে ও সব উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রীকে সবধরনের সহযোগিতার ঘোষণা দেয়া হয়।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে কওমি শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়ন, দেশ সেবায় কওমি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অবাধ সুযোগ প্রদান ও দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণ।
কওমি স্বীকৃতিতে অবদানের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংবর্ধিত হচ্ছেন ৫ আলেম
ব্যানার ধরার লোক নেই ছাত্রসেনার মানববন্ধনে